দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:
আজ ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। অলিতে গলিতে বাজছে দেশপ্রেমের নানা গান। চলছে প্যারেড। সেজে উঠছে রাজপথ। মহান মুক্তি যোদ্ধাদের সন্মান জানিয়ে চলছে তাদের বীরগাঁথার গল্প কথা।
আর এই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ করছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর। এই প্রথম দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১২২ জন জওয়ান৷আজ এই প্রথম ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে বাংলাদেশ ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসে প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী জানিয়েছেন,এর জন্য গর্বিত তিনি। হায়দার চৌধুরীই এই প্যারেডে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন৷ কর্নেল চৌধুরীর কথায়, ‘এর মাধ্যমে তাঁরা ভারতের সেই সমস্ত সেনা আধিকারিক-জওয়ানকে সম্মান জানাতে চান, যাঁরা তাঁদের (বাংলাদেশ) স্বাধীন করার জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন৷’
এবছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। আবার এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ২০২০-২১ সালে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীও পালন করছে। এমন শুভক্ষণে এই বছর এমন সুযোগ পাওয়াকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন কর্নেল চৌধুরী৷
এই নিয়ে তৃতীয়বার ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসে অন্য কোনও দেশের সেনা অংশগ্রহণ করল দিল্লির এই মঞ্চাঅনুষ্ঠানে৷ এর আগে অবশ্য ফ্রান্স অংশ নিয়েছিল ২০১৬ সালে।আর ২০১৭ সালে অংশ গ্রহণ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী৷ এবার দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণ করলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জোয়ানরা।
ভারতীয় সেনার কাছেও বিষয়টি খুব আবেগের৷ কারণ, সেনায় এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন৷ যেমন এবারের প্যারেডের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মেজর জেনেরাল অলোক কাকর এর কথা বলাই যায়। যে কিনা নিজের কথা না ভেবে দেশের জন্য দশের জন্য দেশের মানুষের জন্য ভারত মাতার বীর সন্তান হিসেবে প্রতিনিয়ত সেবা করেছেন। ভারত মাতার এই বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা এবং প্রণাম জানিয়ে তাদের স্যালুট জানাচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রী সহ দেশের সাধারন মানুষজন।
লেখা সুপর্ণা পোদ্দার