দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:গরু পাচার কান্ডের মূল পান্ডা এনামুল হক ঘনিষ্ঠ বারিক বিশ্বাসের বসিরহাটের বাড়িতে সিবিআই হানা। তল্লাশি চলছে তাঁর অফিসেও।এই তল্লাশি অভিযানে গোটা উত্তর ২৪ পরগণা জুড়ে ৪ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন সিবিআই এর প্রায় ৭৫ জন অফিসাররা।
উল্লেখ্য গত বছরেই গরুপাচার কাণ্ডে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হককে।যদিও এখন রহস্যজনক ভাবে তিনি জামিনে আছেন। এর আগেও সিবিআই এনামুলকে গ্রেফতার করেছিল বিএসএফের কমান্ডান্ট জিবু ডি ম্যাথিউকে ঘুষ দেওয়ার মামলায়।তাকে জেরা করে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পারেন,এনামুল হকের গরু পাচারের বিশাল সিন্ডিকেটের কথা।জানা যায় জিবু ছাড়াও, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে কর্মরত একাধিক বিএসএফ আধিকারিক এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক এনামুলের পাচার সিন্ডিকেটের কাছ থেকে বিপুল অর্থ পেয়ে থাকেন।
এই সময়েই এনামুল হকের বাড়িতে তদন্ত চালাতে গিয়ে সিবিআই এর হাতে বেশকিছু নথিপত্র আসে যার মাধ্যমে তারা জানতে পারেন আব্দুল বারিক বিশ্বাসের কথা। তিনি বসিরহাটের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় গরু পাচারের একচ্ছত্র সম্রাট।এছাড়া সোনা এমনকি নারী পাচারেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।তাই ডিআরআই কর্তাদের ভাষায় তিনি হলেন ‘বিগ ক্যাচ’৷
উল্লেখ্য গরু পাচারের ব্যবসায় বারিক বিশ্বাসের উত্থান খানিকটা সিনেমার গল্পের মতোই।প্রথম জীবনে গাড়ি ধুয়ে,খালাসি হিসাবে খেটে ৫০ টাকা রোজে পেট চলত তার।আর সেই বারিক বিশ্বাসই এখন রাজ্য জুড়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করে বসে আছেন।সংগ্রামপুরে তাঁর প্রসাদোপম বাড়িটি তার ঝলক মাত্র। আগে তিনি এলাকায় গোরু ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷ কিন্ত্ত ২০০৫ সাল থেকে গোরু পাচারের ব্যবসায় যুক্ত হতেই লক্ষ্য করা যায় বিশাল পরিবর্তন৷২০০৯-এ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেস থেকে চলে আসেন তৃণমূলে। তখন থেকেই রমরমিয়ে চলতে থাকে তার গরু ব্যাবসা৷ বহুবার তাঁর বিরুদ্ধে নারী পাচারের অভিযোগও উঠেছে৷ কিন্ত্ত প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠায় তার দিকে হাত বাড়ানোর সাহস কুলাইনি কারো৷