দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:
সরকার জানিয়েছেন, “অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম আপত্তিকর হ্যাশট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। একটা কথা মনে রাখা দরকার দেশের কৃষকদের খুব সামান্য অংশই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।”
সরকার জানিয়েছেন, “অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম আপত্তিকর হ্যাশট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। একটা কথা মনে রাখা দরকার দেশের কৃষকদের খুব সামান্য অংশই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।”
বঙ্গে কৃষক আন্দোলন চলছে প্রায় অনেকদিন ধরেই। ‘কৃষকদের দাবি মানতে হবে’ এই দাবিতে ধর্মঘট করেন গোটা কৃষককূল। তবে কোনো কিছুতেই সুরাহা হচ্ছে না কোনোকিছুর। তবে এবার ঘটল অন্য ঘটনা।এবার এই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন পপস্টার রিহানা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
বহু মানুষ অনেকদিন ধরেই কৃষক আন্দোলনকে টুইটারের মাধ্যমে সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন ব্রিটেন এবং আমেরিকা আইনসভার কয়েকজন সদস্য। তবে তাদের এই সমর্থনের দাবিতে বুধবার কড়া জবাব দিয়ে রুখে দাঁড়াল মোদি সরকার।
বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই কৃষকদের আন্দোলনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হিসেবেই দেখা উচিত।”এছাড়া বিদেশ থেকে যারা কৃষক বিরোধকে সমর্থন করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘এসব ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়।সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন হ্যাশট্যাগ দেওয়া ও উচিত নয় যা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। সেলিব্রিটিদের আরোও দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করা উচিত।’
সরকার ও জানিয়েছেন, সংসদে আলোচনা ও বিতরকের পরে কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য আইন করা হয়েছিল। ফলতো কৃষকরা খুশিমতো বাজারে ফসল বিক্রি করতে পারবেন। এদিকে সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে কৃষকদের চাষ করার ক্ষেত্রে কম খরচ লাগবে। বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করে চাষ করা সম্ভব হবে।কিন্তু আপাতভাবে সরকার এই আইন গুলি স্থগিত রাখার কথা বলেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, “এতকিছুর পরেও কায়েমী স্বার্থবাহী কেউ কেউ বিদেশে ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। তাদের উস্কানিতেই বিদেশে মহাত্মা গান্ধীর মুর্তির অসম্মান করা হয়েছে। ভারত তথা সারা বিশ্বে সভ্য সমাজের কাছে এ ঘটনা অত্যন্ত আপত্তিকর”।
অপরদিকে সরকারের দাবি পুলিশ অত্যন্ত সংযতভাবে কৃষক বিক্ষোভের মোকাবিলা করেছে। তবে পাশাপাশি বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে, একটা কথা খেয়াল করা দরকার পুলিশের শত শত নারী ও পুরুষ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে তাদের ছুড়িও মারা হয়েছে।
লেখা সুপর্ণা পোদ্দার