দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ফের এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছেন রাজ্যবাসী। পর ফের এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছেন রাজ্যবাসী। পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আজ বিকেলে বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করতে চলেছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।আর এই নির্বাচনের আগে এটাই বছরের শেষ বাজেট।তবে বিধানসভা ভোটের কারণে এবার পুর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হচ্ছে না। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খরচের অনুমোদন করিয়ে এই বাজেট পেশ হচ্ছে। অর্থনীতির পরিভাষায় যাকে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ বলা হয়ে থাকে।তবে এবারের এই “স্পেশাল” বাজেটে আসন্ন নির্বাচন কে মাথায় রেখে রাজ্যবাসীর জন্য যে, বেশ কিছু চমক থাকছেই তা বলা বাহুল্য।
আরো পড়ুন:“এত পাওয়ার পরেও চাই চাই! পছন্দ না হলে আমায় ভোট দেবেন না” প্রকাশ্য সভায় মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রথা মেনে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের এই বাজেট পেশ করার কথা। কিন্তু করোনা আবহে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তাঁকে এখন বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে।সেজন্য বাজেট পাঠের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রতি বছর সাংবিধানিক নিয়ম মেনে রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।কিন্তু এবছর নজিরবিহীন ভাবে তা হচ্ছে না।যা নিয়ে রাজ্য সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরেও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
সালটা ছিল ১৯৮৪ । সেবছর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বাজেট পেশ করেছিলেন। দলের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ায়পদত্যাগ করেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র। সেসময় জরুরি ভিত্তিতে বাজেট পেশ করেছিলেন জ্যোতিবাবুই।
তবে দুটি বিষয়কে এক করে দেখতে নারাজ যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন ‘‘দু’টি পরিস্থিতিতে এক করে দেখলে হবে না। সে বার রাজ্যে কোনও অর্থমন্ত্রী না থাকায় জ্যোতিবাবু বাজেট পেশ করেছিলেন। কিন্তু এ বার অর্থমন্ত্রী থেকেও অসুস্থতার কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে বাজেট পেশ করতে হচ্ছে।’’