দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ একদিকে যেমন আজ অভূতপূর্ব জনসমাবেশ দেখল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড, জনতার উচ্ছ্বাসে আবারও ফেটে পড়ল ময়দান। তেমনই একটু খিচ রয়ে গেল এই মহাজোটে। আর সেই খিচ আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে কেন্দ্র করেই। আসন ভাগাভাগি করতে লাল শিবির রাজি হলেও এখনো যথেষ্ট জল্পনা রয়েছে কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে। অথচ আজ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আইসেট নেতা আব্বাসের প্রভাব যে কতখানি তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন সমর্থকরা। বর্ষিয়ান সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর বক্তব্য চলাকালীন মঞ্চে এসে উপস্থিত হন নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। সাথে সাথেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে জনতা। এমনকি সূর্যকান্ত বাবুকে তার বক্তব্য থামিয়ে অভিবাদন জানাতে হয় আব্বাসকে। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনা তেমন কিছু না হলেও আজ সমাবেশে আব্বাস প্রভাবকে তা ভালই বুঝিয়ে দেয়।
এরপর বক্তব্য রাখতে উঠেও ঝাঁঝালো গলায় আক্রমণ শানান ভাইজান, তিনি বলেন,”আজ সর্বপ্রথম আই এস এফ এর পক্ষ থেকে ব্রিগেডের এই জনসমুদ্রে আসা।প্রত্যেকটা লাঞ্ছিত ক্ষুধার্ত মানুষকে আমার ভালোবাসা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। পাশাপাশি শুভেচ্ছা আমার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ মোহাম্মদ সেলিমকে, বিমানদাকে এবং বামপন্থী শরিক দলের সমর্থক কর্মীকে। সদিচ্ছা দেখিয়ে আমরা যে তালিকা দিয়েছিলাম তার বেশিরভাগ জায়গায় আমাদের দাবি তারা মেনে নিয়েছেন। তাই ব্রিগেডের এই জমিন থেকে আমার সমস্ত বাঙালি ভালোবাসার মানুষকে বলবো, যেখানে যেখানে বাম শরিক দল প্রার্থী দেবে সেখানে মাতৃভূমিকে রক্ত দিয়ে হলেও স্বাধীন আমরা করব। অতীতে কি হয়েছে না হয়েছে সমস্ত ভুলে গিয়ে আগামী দিন বিজেপি এবং বিজেপিরই টিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা বাংলা থেকে উৎখাত করব। যদি এই সমঝোতা আরও এক সপ্তাহ আগে হত, তাহলে দ্বিগুণ মানুষের জমায়েত করতাম। কারণ বাংলার মানুষ মমতার সরকারের উপর ক্ষিপ্ত।‘দিদিমণির হাত থেকে ক্ষমতা একে একে চলে যাচ্ছে।আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অধিকার সুনিশ্চিত করব।”
এরই মাঝে কংগ্রেস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাল কাটলেন আব্বাস সিদ্দিকী, জোট না হওয়ায় বাম শরিকদের নাম করলেও এদিন কংগ্রেসের নাম না করে তিনি বলেন, “হয়তো আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে বাম শরিকের বেলায় আপনি বললেন যেখানে যেখানে বামশরিকদল দাঁড়াবে সেখানে সেখানে আপনি রক্ত দিয়ে জেতা বেন কংগ্রেসের বেলায় বললেন না কেন? আমি একটা কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিই ভাগিদারী করতে এসেছি কারো তোষন করতে আসিনি , যদি কেউ মনে করে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবেন, তাহলে তাঁকে স্বাগত।ভিক্ষা নয়, অধিকার চাই। আগামী দিন নিজেদের অধিকার নিজেরা বুঝে নেব।”
আজ কংগ্রেস দলকেও এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরাসরি বার্তা দিলেন আব্বাস। এখন কংগ্রেস নেতৃত্ব কিভাবে আগামী দিনেই বার্তাকে সামলায় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।