দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:ভিন রাজ্য গিয়ে ব্রেন অপারেশন করিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা মিললো চন্দ্রকোনার এক বাসিন্দার।চিকিৎসার খরচের পুরোটাই মিললো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়ে।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড নয়াগঞ্জের বাসিন্দা মানস চৌধুরী,পেশায় ব্যবসায়ী।ওই ওয়ার্ডেই রয়েছে একটি মিষ্টির দোকান।স্বামী স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে সংসার তাঁর।
২০১৪ সালে মানসবাবুর বড় মেয়ে জয়িতা চৌধুরী ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ার সময় সাইকেলে চড়ে কল্যাণশ্রী জ্ঞানদা দেবী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় এক বাইক আরোহীর ধাক্কায় পথদূর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং মাথায় গুরুতর চোট পান।মেয়ের ব্রেন হেমারেজ হওয়ায় মেদিনীপুর,কলকাতা হয়ে ভিনরাজ্যে চিকিৎসা করাতে যান তিনি।বয়স জনিত কারণে তৎকালীন সময় অপারেশন করা না গেলেও চলতি বছরের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ভেলোরে মেয়ের ব্রেনের অপারেশন করানোর সিদ্ধান্ত নিলেও লক্ষ টাকা খরচ হওয়ার আশঙ্কায় পিছিয়ে গেলেও সহায় হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চন্দ্রকোনা পৌরসভার আয়োজনে হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরে স্ত্রী সোমা চৌধুরীর নামে পরিবারের তরফে করানো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।
আত্মীয় স্বজনের পরামর্শে মেয়েকে তামিলনাড়ুর ভেলোরে ভর্তি করান এবং মাথায় সফল অপারেশন হয় তার পুরো টাকাটাই বহন করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।মানসবাবু বলেন,২০১৪ সালের দূর্ঘটনায় মেয়ের মাথার হাড় ভেঙে গিয়েছিল তা ১৬ বছর না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন করা যাবেনা বলে ভেলোরের চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিল।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অপারেশনের জন্য নিয়ে যায় কিন্তু টাকার পরিমাণ শুনে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।ফিরে আসার সিদ্ধান্তও নিয়ে নিয়েছিলাম কিন্তু ভেলোরে আমাদের রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে কার্ড দেখালে তারাই আশ্বস্ত করেন ওই কার্ডেই চিকিৎসার সমস্ত টাকা বহন করা হবে।সেমতো অপারেশনের দেড় লক্ষ টাকা ওই কার্ড থেকেই মিলেছে এবং কার্ডে আরও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা রয়েছে বলে জানানো হয়।
মেয়ের অপারেশন সফল এখন ও সুস্থ রয়েছে।”রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে এজন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন মানস চৌধুরী ও তার পরিবার।স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে নানান রাজনৈতিক তরজা চলছে পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্বেও বেশকিছু হাসপাতাল কার্ডের সুবিধা না দিয়ে রোগী ফেরানোর ঘটনাও ঘটেছে।এনিয়ে রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের রোগী ফেরানো নিয়ে হাসপাতাল গুলিকে লাগাতার কড়া বার্তা দিয়েছে।এসবের মাঝেই রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের সুবিধা মেলায় যেমন খুশি চন্দ্রকোনার ওই পরিবার আশার আলো দেখছে অন্যরাও।