দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:-পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার তাগিদে এক মাস আগে ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছিল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের হাসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে নেমে এলো দুঃখের ছায়া।কাজ করতে গিয়ে ক্রেন চাপা পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন শফিকুল।এলাকায় কাজ নেই। কাজের খোঁজে এক মাস আগে ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছিল শফিকুল (৪০)। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা কেতাবউদ্দিন (৭০),মা সাজিনূর বিবি(৬২), স্ত্রী সোনাভান বিবি, চার নাবালিকা মেয়ে।
ব্যাঙ্গালোরে ব্রীজের কাজ করত শফিকুল। লক ডাউনে পায়ে হেঁটে বাড়িও এসেছিলেন শফিকুল।শফিকুলের স্ত্রী সোনাভান বিবি বলেন, “একমাস দশদিন আগে বিদেশে গিয়েছিল। লকডাউনের সময় হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরেছিল। কাল ছয়টার সময় খবর পেলাম স্বামী মারা গেছে। কীভাবে মারা গেছে তাও খবর পাইনি। শেষ কথা হয়েছিল কাল। বাচ্চাদের খবর নিয়েছিল তাদের পড়া-লেখার খবর নিল তারপর সবশেষ।”জলভরা চোখে মৃতের স্ত্রী বলেন “সরকার থেকে কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনি। ঘরের আবেদন করার পরেও কোনো খবর দেয়নি। বাচ্চা গুলোকে কী খাওয়াবো?”
শফিকুলের মা সাজিনূর বিবি বলেন, “বিদেশে গেছিল কাজ করতে। এখন মরার খবর পেলাম। কীভাবে ছেলেমেয়েদের পড়াবো আর কীভাবে তাদের বিয়ে দেব? পনেরো দিন আগে ছেলের সাথে কথা হয়েছিল। দুটি ছেলে আমার। একজন তো মারা গেল।”
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের দৌলতে নতুন জীবন পেলেন চন্দ্রকোণার তরুণী
প্রসঙ্গত,রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাব,পেটের টানে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কয়েকদিন আগেও চারজন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর এসেছে। এই প্রসঙ্গে শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির।পাল্টা কটাক্ষ শাসকদলের।শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।মালদা জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, “আমি আজকেই শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখবো কিভাবে সাহায্য করা যায়।”