দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ সম্প্রতি হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী তালিকা নিয়ে দিকে দিকে বিতর্ক উঠেছে। বহু বিধানসভা কেন্দ্রে এমন হয়েছে যে ঘোষিত প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় পার্টি অফিসে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালিয়েছেন পার্টির কর্মকর্তারা। এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই এবার দলীয় ক্ষোভ প্রশমনে ময়দানে নামলেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়া এই অসন্তোষ প্রশমিত করতে দলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইলেন একটি বার্তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে। সেই বার্তায় তিনি শোনালেন সঙ্ঘ-শিক্ষার তিন মন্ত্র— প্রথমে রাষ্ট্র। তার পরে দল এবং সব শেষে ব্যক্তি। ইংরেজিতে দিলীপ লিখেছেন, “নেশন ফার্স্ট, পার্টি সেকেন্ড, সেল্ফ লাস্ট।”
দিলীপ ঘোষ অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই কাজ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের হয়ে। সেই সঙ্গে শেখা মন্ত্র গুলি রাজনীতির ময়দানে অব্যর্থভাবে ব্যবহার করে থাকেন তিনি। এইসকল বার তার মধ্যে একটি প্রধান বার্তা হল সর্বপ্রথম দেশকে ভালোবাসো, তারপর দলকে আর সব শেষে নিজেকে। বিজেপির নির্বাচন-পূর্ববর্তী এই কোন্দলকে সামাল দিতে এই মন্ত্ররই আশ্রয় নিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। তার এক ঘনিষ্ঠ মতে,”দিলীপ’দা শুধু সংগঠনের দিক থেকেই নয়, এই বিষয়টাকে আধ্যাত্মিক কারণেও বিশ্বাস করেন। উনি মনে করেন ‘সত্ত্ব গুণ’ হল রাষ্ট্র অর্থাৎ দেশকে ভালবাসা। ‘রজঃ গুণ’ হল সংগঠনের হয়ে লড়াই করা। সর্বস্ব সমর্পণ করা। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ‘তমঃ গুণ’ হল নিজের কথা ভাবা। ব্যক্তি স্বার্থের কথা চিন্তা করা।”
শুক্রবার এই পোষ্ট করার পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে,”চারদিকে প্রার্থী হওয়ার জন্য সবার এত চাহিদা দেখেই কথাগুলো লিখলাম। সকলেই প্রার্থী হতে চান। কিন্তু আমি যে তিনটি কথা লিখেছি, তা আমাদের দলের বেশিরভাগ সদস্য বিশ্বাস করেন। সেই কারণেই সংগঠন এত বড় এবং এত শক্তিশালী হয়েছে। সেটাই নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিলাম।”
এখন দিলীপ ঘোষের এই বার্তার পরে বিজেপির কর্মীদের মধ্যেকার ক্ষোভ প্রশমন কতটা সম্ভবকর হয়, সেটাই দেখার।