দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছে ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনা যেমন দেখা গেছে, তেমনই বহু জায়গায় ঘটেছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। তবে এবার ভোট প্রচার শালীনতার সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেল।
ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বিধানসভা কেন্দ্রে। ভাতারের তৃণমূল প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারীর প্রচারের উদ্দেশ্যে সেই অঞ্চলে একটি ব্যানার লাগিয়েছিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। ভাতার বিধানসভা কেন্দ্রের নিত্যানন্দপুর গ্রামের একটি রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছিল সেই ব্যানারটি, যেখানে একদিকে রয়েছে প্রার্থীর ছবি, অপরদিকে রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সোমবার সকালে হঠাৎ পানিও বাসিন্দারা দেখতে পান যে সেই ছবিটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বিকৃত করা হয়েছে। ছবিটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর একে দেওয়া হয়েছে আর কপালে গোল করে লাল টিপ পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যানারটি স্থানীয় এলাকার মানুষের দৃষ্টিগত হতেই এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বিভিন্ন স্থান থেকে ওই অঞ্চলে ছুটে আসেন তৃণমূলের সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা।
কর্মী-সমর্থকদের জমায়েতের পর সেখানকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বেশ কিছুক্ষণ সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই ঘটনার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি দায়ী করেছে বিজেপি ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। নিত্যানন্দপুর এর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হাফিজ মণ্ডলের এই ইস্যুতে অভিযোগ, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে এই ধরনের নোংরা কাজ করেছে। ওরা ভোটের আগে অশান্তির সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা পুলিশের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছি। নির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়ে যোগ্য জবাব দেবেন।”
যদিও বিজেপির ভাতার অঞ্চলের ৩৩ নম্বর ব্লকের মন্ডল সভাপতি রাজকুমার হাজরার বক্তব্য, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ধরনের নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। প্রয়োজনে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”
এই ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের পরিস্থিতি যে রীতিমতো উত্তপ্ত, সে কথা বলাই যায়। এখন এই অঞ্চলে নির্বাচন কমিশন কতটা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সংঘটন করতে পারবে, সেটাই দেখার।