দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : দীর্ঘকালীন বন্ধ থাকার পর ১২ ফেব্রুয়ারিতে খুলেছিল দরজা । করােনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে কপালে ভাঁজ ।
এই অবস্থায় কীভাবে ক্লাস চলছে তা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা । এদিকে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বুধবার বাতিল করা হয়েছে সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা । কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের অধ্যক্ষ রূপা এস ভট্টাচার্য্য । তাঁর কথায় , ‘ মারাত্মক এই অবস্থায় ঘরের মধ্যে থাকাই সঠিক সিদ্ধান্ত ।
সাউথ পয়েন্ট – সহ শহরের প্রথম সারির স্কুলগুলি অনলাইন মােডে পঠন পাঠনকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে । ফলে ছাত্র ছাত্রীদের কোনও অসুবিধে হবে না । ‘ দিল্লির সামগ্রিক করােনা পরিস্থিতি ভয়ংকর। একই অবস্থা এ রাজ্যেরও । করােনার দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৬ হাজার।
প্রশ্ন উঠছে , এমতাবস্থায় স্কুল কি খুলে রাখা উচিত ? জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দোলুই জানিয়েছেন , পঠন পাঠনে বিঘ্ন আমরা চাই না । কিন্তু স্কুলে ছাত্র – ছাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব মানছে কি না তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতেই হবে । রাজ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ । কোনওভাবে এই বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর জীবন বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না । তার পরামর্শ , প্রতিটি শ্রেণিতে ৬ ফুট দুরত্ব রেখেই বসাতে হবে ছাত্রদের ।
ডা . দোলুইয়ের অনুরােধ , স্কুলের সময়টুকু বাদ দিয়ে টিফিন পিরিয়ডেও যেন কোভিড বিধি মানা হয় সেদিকে কড়া নজর রাখুক স্কুল কর্তৃপক্ষ । ভােট মরশুমে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করােনা গ্রাফ , রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার ২০২০ – তে করােনার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর টানা ১১ মাস বন্ধ ছিল স্কুল । প্রাথমিক বাদ দিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে গিয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি । রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ লক্ষ । মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তার চেয়েও বেশি । প্রশ্ন উঠছে সিবিএসই বাের্ডের পথেই কি হাঁটবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ?
শিশু কিশােরদের করােনা আক্রান্ত হওয়ার বাড়বাড়ন্তে প্রােটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র্স নামক চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে পৌঁছে গিয়েছে চিঠি ।
সেই চিঠিতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন , করােনার দ্বিতীয় ওয়েভে শিশুরা আক্রান্ত হওয়ার হার মারাত্মক । অল্পবয়সিদের মধ্যে ডায়েরিয়া , চোখ লাল হয়ে যাওয়া , বমি এমন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে । তাদের দাবি , পেডিয়াট্রিক কোভিড । ম্যানেজমেন্টকে আরও শক্তিশালী করতে হবে । সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে পেডিয়াট্রিক কোভিড সেন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে । করােনা আক্রান্ত হয়ে অবস্থা সঙ্গীন হলে ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনােগ্লোবিন ইঞ্জেকশন প্রয়ােজন শিশুদের । যথেষ্ট পরিমাণে তা মজুত রাখতে হবে সরকারী বেসরকারি ক্ষেত্রে ।