দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পৃথিবীর ৯০% বাণিজ্য জাহাজের উপরেই নির্ভরশীল। সমুদ্রপৃষ্ঠে প্রতিনিয়ত চলে ৬০০০ জাহাজ। জানেন কি, একটা পণ্যবাহী জাহাজ ৬টা ফুটবল মাঠের সমান। আর ওই একটা পণ্যবাহী জাহাজই ৫০লক্ষ্য মোটর গাড়ির সমান দূষণ ছড়ায়।
প্রতিবছর ১০,০০০ পণ্যবাহী কন্টেনার সমুদ্রে হারিয়ে যায়। বা বলা ভালো যে, ফাঁকা কন্টেনারের স্ক্র্যাপ মূল্য জাহাজের তেলের দামের চেয়ে কম। তাই ফাঁকা কন্টেনারগুলি ফেলে দেওয়া হয়। আর সেগুলি ছড়িয়ে পড়ে থাকে বন্দরের আশেপাশে।
এহেন পরিবেশে দূষণের সংকট মুক্তির জন্য কলকাতার নিউটাউনে তৈরী হয়েছে কন্টেনার টয়লেট। নিউটাউনের জনবহুল এলাকায় বসানো হয়েছে এই শৌচাগারগুলো।
লাল রঙের এই শৌচাগারগুলো নজর কাড়তে বাধ্য। এর ভিতরে আছে সেন্সর লাগানো আলো। যখন শৌচাগারগুলোর ভিতরে কেউ প্রবেশ করে, তখন আপনিই আলো জ্বলে ওঠে। এই শৌচাগারগুলোর উপরে রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল।
এই কন্টেনার শৌচাগারগুলো প্রতিটিই খুব পরিস্কার এবং জানা যায়, এই পরিচ্ছন্নতার ফিডব্যাক দিতে সেখানে বসানো হয়েছে একটি গ্যাজেটও। পরিবেশ বান্ধব এই শৌচাগারগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
“এই কন্টেনার গুলোকে শৌচাগারে পরিণত করতে প্রায় ছ’মাস সময় লাগে। কিন্তু আমরা এটা তিন মাসে করার চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে একটা সার্ভে করে জানতে পেরেছি, বেশ কয়েকশো মানুষ রোজ এটি ব্যবহার করছেন এবং উপকৃত হচ্ছেন” – জানিয়েছেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন।
প্ল্যাটিনাম গ্রীণ সিটি নিউটাউন, পৃথিবীর সেরা পাঁচ পরিবেশ বান্ধব তকমা পেয়েছে ২০২০ সালে। সেই সন্মানের মর্যাদাকে বাঁচিয়ে রাখতে আরও পরিবেশ বান্ধব হয়ে উঠছে নিউটাউন।
লেখা: স্নিগ্ধা দে