দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে নাজেহাল দশা মানুষের। সেই প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। করোনাকালে আরও এক সঙ্কট তৈরী হয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেনকে ঘিরে। এই পরিস্থিতিতে বিপদের প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিতে শহরে তৈরি হল ৪ টি ‘ অক্সিজোন ‘ । জরুরি পরিস্থিতিতে রােগীকে ২-৩ ঘণ্টার অক্সিজেনের জোগান দেবে এই ‘ অক্সিজোন’গুলি।যাদবপুর , সল্টলেক , খিদিরপুর এবং সােদপুরে তৈরি করা হয়েছে ওই অক্সিজোন । শহরের দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রমেয়া ফাউন্ডেশন এবং ইকোস প্রজেক্ট – এর সঙ্গে এই কাজে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিদেশের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা।’ টরন্টোর প্রবাসী বাঙালিদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ প্রবাসে বাঙালি আড্ডা ‘ জানিয়েছে , কানাডাবাসী ভারতীয়দের একটি বড় অংশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই প্রকল্পে।
সংস্থার এক সদস্যের কথায় , ‘ কানাডায় বাঙালি সংস্কৃতির চর্চার পাশাপাশি আমরা সামাজিক কাজও করে থাকি । বিশেষ করে বাংলার মানুষের জন্য বিভিন্ন কাজ করেছে এই সংগঠন । অতিমারি পরিস্থিতিতে আমরা কলকাতাবাসীকে সাহায্য করতেই এই পদক্ষেপ করেছি । এ ব্যাপারে কানাডাবাসী বহু ভারতীয়ই আমাদের সাহায্য করেছেন।’
সাধারণত যে সমস্ত রােগীর শ্বাস কষ্টের সমস্যা হচ্ছে বা যাঁদের শরীরে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা যাচ্ছে তাদের ২-৩ ঘণ্টার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে অক্সিজোনগুলিতে। রাজ্যে অক্সিজেন ঘাটতির পরিস্থিতিতে অনেক সময় দাম দিয়েও অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচ্ছে না রােগীরা। ‘অক্সিজোন’ গুলিতে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে রােগীকে নিজের পরিচয় পত্র এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখাতে হবে।
এছাড়াও এই ‘অক্সিজোন’গুলির মাধ্যমে প্রয়ােজন অনুযায়ী জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে রােগীর কাছাকাছি এলাকায় থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঠিকানাও। আপাতত রাজ্যে করােনা সংক্রান্ত কঠোর বিধি নিষেধ চললেও জরুরি পরিষেবা হিসেবে খােলা থাকছে অক্সিজোনগুলি।