দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:মারণ ভাইরাস করোনার থাবায় মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য মানুষের।করোনায় প্রাণ হারানো সেইসব মানুষের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় আবেগঘন হয়ে চোখের জল ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে করোনার কারণে দেশজুড়ে অনেক শিশু অনাথ হয়ে পড়েছে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার টুইট করে সেইসব শিশুদের দায়ীত্ব নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেই ইস্যুতেই এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
উল্লেখ্য গতকাল টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছিলেন , “অজস্র শিশু করোনার কারণে নিজের বাবা-মাকে হারিয়েছে। সরকার এদের খেয়াল রাখবে। এঁরা যাতে সুস্থ এবং সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে পারে, তা নিশ্চিত করবে। পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে এদের শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাহায্যও করা হবে।”
অনাথ শিশুদের দায়ীত্ব নেওয়ার বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “মাস্টার স্ট্রোক” বলে উল্লেখ করেছেন প্রশান্ত কিশোর ।আজ অর্থাৎ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই টুইট টিকে রিট্যুইট করে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন “সরকার ব্যর্থতা এবং করোনার জন্য যে শিশুরা নিজেদের মা-বাবাকে হারিয়েছে তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোটা মোদি সরকারের নিজস্ব মাস্টারস্ট্রোক। ওই অনাথ শিশুদের এখনই সাহায্যের দরকার। কিন্তু তারা এখনই সেটা পাবে না। বদলে তাদের অপেক্ষা করতে হবে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত। ততদিন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের উপরেই ভরসা রাখতে হবে তাদের।”
সেইসাথে অপর একটি টুইটে শিশু শিক্ষার বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন “বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকার সংবিধানেই রয়েছে। কিন্তু এই শিশুদের মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত আরও একবার সেই একই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য।”
এছাড়াও গতকাল ওই সমস্ত অনাথ শিশুদের স্বাস্থ্যবিমার নিশ্চয়তাও দিয়েছেন মোদী। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে ভোটকূশলী প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন “আয়ুষ্মাণ ভারতে এদের স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা হয়েছে। যে আয়ুষ্মাণ ভারত ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিমার দায়িত্ব নিয়েছে বলে দাবি। অথচ প্রয়োজনে হাসপাতালের শয্যা বা অক্সিজেন কিছুই দিতে পারেনি।”