দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ‘খেলা হবে’ স্লোগানের রেশ এখনো রয়ে গেছে তা বোঝাই যাচ্ছে। গর ৩০ শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাল ছিল রাজনৈতিক মহল। টিএমসি এবং বিজেপি দুটি দল সমানে টক্কর দিতে চাইছিলেন একে অপরকে। এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তেও কেউ কাউকে রাজি ছিলেন না। যার পরিচয় আমরা শেষ দিনের প্রচারের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখেছি।
আগামীকাল ৩ রা অক্টোবর ফল ঘোষণা হবে ভবানীপুরের পাশাপাশি শামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর দুটি উপ-নির্বাচন কেন্দ্রের। ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীর পুরানো নির্বাচন কেন্দ্র পাশাপাশি তার রাজনীতির পীঠস্থান। তাই একাংশ ধরে রেখেছেন ভবানীপুরের বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা হয়তো বিধানসভা ভোটে জয়ের ব্যবধান কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
উপনির্বাচন কে কেন্দ্র করে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জএ রাজনীতির পারা সেভাবে চড়েনি বললেই চলে। তার উপর মুর্শিদাবাদে সেভাবে সংগঠনও নেই বিজেপির। তাই একপ্রকার নিশ্চিত, উপনির্বাচনের খেলায় প্রথম পর্যায়ে হোয়াইট-ওয়াশ হতে চলেছে বিজেপি।
প্রচার পর্বে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল মুখ্যমন্ত্রীকে একজন সাধারণ প্রতিদ্বন্দী হিসেবেই দেখতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন একই প্রতিযোগিতায় তিনি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই প্রার্থী। এর বেশি কিছু ভাবতে চান না তিনি। যা থেকে প্রকাশ পেয়েছিল তার লড়াকু মনোভাব একজন হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী কে তিনি আগিয়ে দিয়ে পিছিয়ে থাকতে চান নি কোনভাবেই।
রাজ্য নেতাদের প্রায় বেশি অংশই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভোটের থেকেও অনেকটি আসন বাড়িয়ে নিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবেন এই লড়াইয়ে। ভবানীপুরের লড়াইটা যেকোনো বিরোধী পক্ষের জন্যই কঠিন হবে তা ধরে নেওয়া যায়। একজন শীর্ষস্থানীয় নেতার কথায়,‘‘আসলে উপনির্বাচন যখন রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় কোনও পরিবর্তন আনতে পারবে না বলে বোঝা যায়, তখন সাধারণ ভোটাররা চিন্তা কম করেন। এমন কী ভোট দিতেও সে ভাবে আগ্রহ দেখান না। সেটা পরিসংখ্যানই বলে দেয়।’’
এ মুহূর্তে দুই শিবির ফল ঘোষণার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঘাসফুল শিবির জানিয়ে দিয়েছে ‘বি ফর ভবানীপুর, বি ফর ভারত’ অপরদিকে এই স্লোগান এর বিপক্ষে বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে ‘বি ফর ভবানীপুর, বি ফর বাঁশদ্রোণী’। কারণ বিজেপি শিবিরের মত, তৃণমূল কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জয় নিশ্চিত করতে।
২০১১ সালে উপনির্বাচনে এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এই কেন্দ্র থেকে জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই রেকর্ডকে জারি রেখে হ্যাটট্রিক করবেন কিনা, মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখবেন কি না, তার জন্য আপাতত আগামীকাল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যবাসীকে।