দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : এবছর দুর্গা পূজার সময় সম্প্রদায়িক হিংসার আগুন জ্বলেছে বাংলাদেশে। সেই কারণেই সারা পৃথিবীর নজর এখন বাংলাদেশের দিকে। শুধু মাত্র মুসলমানের পবিত্র ধর্মগ্ৰন্থ কোরান মন্দিরে রাখার জন্য অত্যাচারিত হয়েছে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা মন্ডপ ও মন্দিরেও। সেই কারণেই এবার সমালোচনার ঝড় উঠেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত সহ অন্যান্য দেশগুলিতেও। এই ঘটনাগুলির পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়েছেন দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার।
সম্প্রতি ধরা পড়েছেন এই ঘটনার মূল দোষী অর্থাৎ যিনি দুর্গা মন্ডপে কোরান রেখেছিলেন। দেখা গেছে ঐ ব্যক্তিও একজন মুসলিম যুবক। তবে তারপরেও এবার দেশে অশান্তি এড়াতে হিন্দুদের ঐতিহ্যবাহী পূজা কাত্যায়নী পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূজো কমিটি গুলো। রাজধানী ঢাকা থেকে কিছু দূরেই অবস্থিত মাগুরা। যেখানে দুর্গা পূজার মতোই জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয় কাত্যায়নী পূজা। কিন্তু বর্তমান সময়ের এই পরিস্থিতির জন্যে বন্ধ থাকবে শতবছর ধরে চলে আসা এই এলাকার পূজো।
এই প্রসঙ্গে মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু জানিয়েছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পুজোমণ্ডপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতামতের ভিত্তিতে এবার মাগুরা জেলার কোথাও কাত্যায়নী পুজো না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”