দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়। যদি না মানুষ সেই জিনিসের সঠিক প্রয়োগ না জানে। তাহলে তার ফল হতে পারে উল্টো। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের ফলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ব্যাবহার করার পরিমান অনেকাংশেই বেড়েছে। তবে অধিকাংশ কোনকিছুই যে খারাপ তা প্রমাণ হলো আবারও। অ্যালকহল যুক্ত স্যানিটাইজার হাতে মেখে আগুনের কাজ করায় শরীরের গোটা অংশ পুড়ে গেল এক মহিলার।
মহিলার নাম কেট ওয়াইস। তিনি টেক্সাসের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে তিনি এবং তাঁর সন্তানেরা করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি তাঁর নতুন কেনা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করে নিজের সন্তানের বিছানার পাশে মোমবাতি জ্বালাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে সেই মোমবাতির আগুন ধরে যায় তাঁর হাতে। এর ফলে ঐ মহিলা হঠাৎ লাফাতে গিয়ে তাঁর হাতের মধ্যে উল্টে যায় একটি মদের বোতল।
মদের বোতল ওল্টানোর দরুন তার হাতে অতিরিক্ত আরও অ্যালকোহল পড়ে যায় এবং আগুন লেগে তা বিস্ফোরণের আকার ধারন করে। এরই মধ্যে উঠে পড়ে তাঁর সন্তানেরা। এক সন্তানের সাহায্যে নিজের শরীর থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলতে শুরু করেন তিনি,যাতে আগুনের তাপ কম লাগে। এবং আরেক সন্তান পাশের বাড়িতে দৌড়ে যায় সাহায্যের মিনতি নিয়ে।
এর পরেই ঘটনাস্থলে জরুরি পরিষেবার কর্মীরা দ্রুত এসে উপস্থিত হয়ে কেট-কে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর পরীক্ষা করে বলেন, “কেটের থার্ড অথবা সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন হয়েছে। অর্থাৎ, সারা শরীরেই কোথাও না কোথাও পুড়েছে”। তাঁর অবস্থা দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠেন সবাই।স্বাস্থ্য সুরক্ষার জিনিসে শরীরের যে এমন হাল হতে পারে তা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না।
সামান্য সুস্থ হওয়ার পর কেট জানিয়েছেন, ‘প্রথম আগুনের ফুলকি তিনি তাঁর হাতে দেখতে পান। অর্থাৎ যেখানে তিনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছিলেন’। যদিও দমকলের পক্ষ থেকে এখনও আগুন লাগার সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা হয়নি। কিন্তু কেট এখনও আতঙ্কগ্রস্থ। তাই তিনি বারবার সাধারণ মানুষকে বলছেন, ‘সাবধানে অ্যালকোহল নির্ভর হ্যান্ড জেল ব্যবহার করতে, যাতে তাঁর মতো দুর্ঘটনা না ঘটে। এর থেকে বাড়িতে সাবান ব্যবহার করা অনেক বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন কেট। তাতে জীবানুও মরে, আবার কোনও ঝুঁকিও থাকে না’।