দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
করোনা ভাইরাস কি বায়ুবাহিত ? এসব আগের বেশ কিছু সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছে। তবে শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে তা কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকে এবং সহজে সংক্রমণ ছড়ায়। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি-র প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকরা চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছেন। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, মিউকাসের মধ্যে অনেকক্ষণ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এই ভাইরাস ২০০ মিটার পর্যন্ত কিন্তু সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত লিওনার্ড পিস যেমন জানিয়েছেন, কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ১৫ মিনিটের মধ্যেই অপর জন সংক্রমিত হয়েছেন এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে আগেই। তার থেকেই অনুমান শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই কিন্তু ছড়াচ্ছে ভাইরাস।
তাই সব সময় মাস্ক ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন। ভাইরাস কিন্তু প্রথমে আক্রমণ করে শ্বাসযন্ত্রে। আর সেখানে ভাইরাস শ্লেষ্মার মধ্যে অনেকক্ষণ পর্যন্ত জীবিত থাকে। পরবর্তীতে কিন্তু তাই নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। ২০- ৪৫ মিনিট সময় পর্যন্ত তা অতিরিক্ত সক্রিয় থাকে। আর সেখান থেকেই দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বায়ু চলাচলের সুযোগ কম সেখানে অ্যারোসল গুলো অনেকক্ষণ পর্যন্ত জীবিত থাকে। স্কুল, সিনেমাহল, সভা-সমাবেশ, পার্টি থেকে যে কারণে বেশি আক্রান্তের খবর আসে। যে কারণে বদ্ধ জায়গা থেকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের খবর আসে। তুলনায় ফাঁকা মাঠ অনেক বেশি নিরাপদ।
বদ্ধ জায়গায় অনেকে থাকলে যেমন দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকা যায় না তেমন সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাও সম্ভব হয় না। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যাঁরা গ্রাউন্ড ফ্লোর বা নীচের ঘরে থাকেন তাঁদেরও কিন্তু আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। ভ্যাকসিন নিলেও সব সময় মুখে মাস্ক রাখার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে ভিড়, জমায়েত যে কোনও অনুষ্ঠান এসব কিন্তু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, কোভিড কাল এখনও ফুরিয়ে যায়নি। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এখনও। নিজেরা সুস্থ থাকলে দ্রুত ফেরা যাবে স্বাভাবিক জীবন ছন্দে।