দ্য ক্যালকাটা মিরর: করোনা আবহে হাতে স্যানিটাজার মাখার অভ্যাস তৈরি হয়েছে আমাদের মধ্যে অনেকেরই। এইভাবে করোনা রোখার চেষ্টা তো রয়েইছে, এছাড়া তলানিতে থেকে যাওয়া অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর জন্যে আনলক ফেজে কোভিড সংক্রমণ রুখতে দেশের বিভিন্ন মল, অফিস ও জনবহুল স্থানে বসানো শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশন টানেল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে এই স্যানিটাইজার টানেল স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।
স্যানিটাইজার টানেল দেখতে অনেকটা সিকুরিটি গেটের মতো যার মধ্য দিয়ে হেঁটে গেলে স্প্রে’র মাধ্যমে মাথা থেকে পা পর্যন্ত স্যানিটাইজড হয়ে গোটা শরীর নাকি নিরাপদ ও নির্বিজ হয় যায়। হ্যাঁ, এমনটাই দাবি করা হচ্ছিল এবং হচ্ছেও। কিন্তু এই ব্যবস্থা আমাদের শরীরের পক্ষে নিরাপদ কী? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্ট এ একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলায় কেন্দ্র সোমবার শীর্ষ আদালত জানালো কেন্দ্রীয় সরকারে জানিয়েছে এই ধরণের টানেল নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হবে।
আজ অর্থাত্ সোমবার, শীর্ষ আদালকে কেন্দ্রীয় সলিসিটার জেনারেল জানান, স্বাস্থ্যপ ঝুঁকি থাকার জন্যে গোটা দেশে স্যানিটাইজেশন টানেল নিষিদ্ধ করবে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এই ধরনের টানেল ব্যবহার করতে ইতিমধ্যেই সরকারী তরফে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে এই উত্তর জানার পর আদালতের প্রশ্ন, স্যানিটাইজেশন টানেল যদি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর জেনেও কেন্দ্র এই বিষয়ে চুপ কেনো? উত্তরে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, মঙ্গলবারই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে যত্রতত্র স্যানিটাইজেশন টানেল বসানো নিষিদ্ধ করার আবেদন নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। গত ১২’ই আগস্ট সেই মামলায় শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ কেন্দ্রের মতামত জানতে চায়। আজ শুনানিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্যানিটাইজেশন টানেল সম্পর্কে উত্তর দিল এবং জানিয়ে দিলো আগামী বুধবারথেকেই সম্ভবত: স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকা এই টানেল গুলো দেশ জুড়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।