রামধনু রঙের পতাকা (Pride Walk) হাতে রবিবার দুপুরে প্রাইড প্যারেডে পা মেলালেন কয়েকশো মানুষ। শহর কলকাতা জুড়ে চলল রঙিন শোভাযাত্রা। শুরুটা হয়েছিল ২ রা জুলাই ১৯৯৯ সালে। তখন এই যাত্রার নাম ছিল ফ্রেন্ডশিপ ওয়াক। প্রথম কলকাতাকে বাছাই করা হয় এই বন্ধুত্বের যাত্রা শুরু করবার জন্য। মূলত মানবাধিকার ও রাজনৈতিক অধিকারের দাবিতেই এই মিছিল। পরবর্তীকালে এর নাম হয় রেইনবো প্রাইড ওয়াক। যার প্রতিনিধিত্ব করে কলকাতা রেনবো প্রাইড ফেস্টিভ্যাল।
সমতা সহিষ্ণুতা ভালোবাসা এবং সংহতি রক্ষার জন্য এই মিছিলের আয়োজন করা হয় প্রতিবছর। ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে এই মিছিলে যোগদান করেন প্রতি বছর কয়েকশ মানুষ। শিশুদের অধিকার নারীদের মর্যাদা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষটাও এই পদযাত্রায় পা মিলিয়েছেন।
মুম্বাই এবং ব্যাঙ্গালোরেও এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল বেশ কয়েকবার।শুধুমাত্র ভারত নয় পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকেও বহু মানুষ এসে যোগদান করে এই প্রাইড ওয়াকে। রবিবার অর্থাৎ ১৮ই ডিসেম্বর কলকাতার রেনবো প্রাইড ওয়াকের জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করা হয় কলকাতার পার্ক স্ট্রীটে। ২০২২ সালের এই পদযাত্রায় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৫ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করে।
মধ্য কলকাতার পার্ক স্ট্রিট সাজানো হয়েছিল রামধনু রঙের পতাকায়। সেই সঙ্গে পোস্টার দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়।প্রতিটি পোস্টারে লেখা রয়েছে সমাজ সচেতনতা মূলক নানান স্লোগান ও বার্তা। উপস্থিত ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার নীল। এই পদযাত্রা শুরু হয় দুপুরেরটায় পার্ক সার্কাস থেকে। এরপর পার্ক স্ট্রিট ও মেয়ো রোডে গিয়ে শেষ হয়।
ফ্যাশন ডিজাইনার নীল বলেন, “বিপুল সংখ্যক পোস্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা হাঁটার সময় অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা প্রদর্শিত হবে। স্লোগান ও বার্তা দিয়ে একটি ট্রাক প্রস্তুত করা হচ্ছে”।
কলকাতা পুলিশ জানায় গত কয়েক বছর ধরে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের মতো। তবে গত কয়েক সপ্তাহে এই পদযাত্রায় অংশ নিতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এদিনের পদযাত্রা একদিকে যেমন নারী পুরুষ অন্যদিকে রূপান্তরিত নারী-পুরুষদের ভিড় জমে। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত ইউটিউবার ও সমাজ সংস্কারক স্যান্ডি সাহা সহ অনেকেই।
প্রতিবেদন ও ছবি: রাণা চক্রবর্তী