দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: হিসেব মত গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে শারোদৎসব। অশুভ শক্তি দূর করে শুভ শক্তির স্বরূপ দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠেছে গোটা দেশ। এবারের দুর্গা পূজা একটু অন্যরকমের। আর তার জন্যে দায়ী অবশ্যই করোনাভাইরাস। তাই সরকারী নির্দেশ মাথায় রেখেই দেশ জুড়ে শুরু হয়ে দেবীর আরাধনা।
সেই নিয়ম মেনেই বৈষ্ণদেবী মন্দিরেও শুরু হয়েছে নবরাত্রি উৎসব। শত চণ্ডী মহাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ন’দিন ব্যাপী উৎসবের সূচনা হয়েছে। কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কোভিড নির্দেশাবলীর পালনে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ‘বৈষ্ণদেবী শ্রাইন বোর্ড’ বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ ও অন্যান্য রীতিনীতির মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা করেছে।
জম্মুর কাটরা শহরে অবস্থিত ত্রিকূট পর্বতের পবিত্র গুহায় এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর মানবজাতির শান্তি, উন্নতি ও সুস্বাস্থ্যের উদ্দেশ্যে শুরু এই ৯ দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ সম্পন্ন হবে মহানবমীতে যজ্ঞে পূর্ণ আহূতির পর।
গতকালের এই অনুষ্ঠানে শ্রীমাতা বৈষ্ণদেবী শ্রাইন বোর্ডের সিইও রমেশ কুমার-সহ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য ও বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী এই মহাযজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নবরাত্রির সময় রোজ সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এই শত চণ্ডী মহাযজ্ঞের সম্প্রচার হবে।
উল্লেখ্য, অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও বৈষ্ণদেবীর ভবন ‘আটকা’ ও তার আশপাশের অংশকে নবরাত্রি উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এমনকী নবরাত্রির সময় বিপুল সংখ্যক ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বোর্ড। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, নিরবিচ্ছিন্নভাবে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা করে রাখা। গুহা পর্যন্ত যাওয়ার সমস্ত পথেই এই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি স্যানিটেশন ও ভক্তদের জন্য বিশেষ খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পবিত্র গুহা পর্যন্ত সমস্ত পথের মেরামতি করা হয়েছে, যাতে যাতায়াতে ভক্তদের কোনও ধরণের অসুবিধার মুখে পড়তে না-হয়।
বোর্ডের সিইও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তীর্থযাত্রীদের অভিমত নেওয়ার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন। বোর্ডের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে, উৎসবের প্রথম দিনে প্রায় ৭ হাজার পূণ্যার্থী কাটরা এসেছিলেন। উল্লেখ্য, শনিবার সকালে জম্মুর ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জীব ভার্মা কাটরা শহরে নবরাত্রি উৎসবের উদ্বোধন করেন।