দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: একদিকে করোনা পরিস্থিতিতে যখন গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন তখন অপরদিকে আশ্চর্যজনকভাবে কিছুটা হলেও কমছে যক্ষ্মার হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একটি সমীক্ষায় বলেছে, ভারতে গত বছরের তুলনায় এই বছরে যক্ষ্মার হার ২৫ শতাংশ (২৫%) কমেছে। সম্প্রতি ‘হু’ এর তরফে একটি গ্লোবাল রিপোর্টে এ তথ্য উদ্ধৃত।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল টিবি (টিউবার কিওলোসিস) এর একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, পৃথিবীর মোট ২৬ শতাংশ যক্ষ্মার ঘটনা ভারতেই দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই বছর সেই পরিসংখ্যানটা কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। পাশাপাশি এতে আরও বলা হয়, ভারতে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫০ হাজার যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলেও, করোনায় লকডাউনের জেরে গত কিছু সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজারে। যেখানে গত মে মাসের পরিসংখ্যান বেড়ে দাঁড়িয়েছিল সপ্তাহে ৩৫ হাজারের মতন। তবে টানা দীর্ঘ লকডাউনের জের, যক্ষ্মার এই ক্রমবৃদ্ধিমান পরিসংখ্যানটা নিয়ন্ত্রণে এনেছে কিছুটা হলেও।
উল্লেখ্য গত ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালে ভারতে যক্ষ্মার গ্রাফটা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৪ শতাংশ। অর্থাত্ সংখ্যাটা বেড়ে ১.২ মিলিয়ন থেকে হয়েছে ২.২ মিলিয়ন। এর ফলে সাম্প্রতিক মৃত্যুর হার ০.২ বেড়ে ০.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। ঘটনায় চিকিৎসকমহলের একাংশের দাবি, করোনার দরুণ মানুষের জীবনে যক্ষ্মার মতো রোগকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।


এই ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যাতে, করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার প্রায় ৭ থেকে ২১ দিনের ভেতর যক্ষ্মা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। সরকারি তরফে এ পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত লকডাউন যক্ষার হার কিছু অংশে কমাতে পারলেও জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দ ফিরলে তার পরিসংখ্যানটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকের একাংশ।