দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কিন্তু এই রায় দানের আগেই বাঙালি প্রস্তুত হয়ে পড়েছিল করোনা আবহেই কিভাবে দেবী কে বরণ করা যায়। আর সেকারণেই রাজ্যজুড়ে সেজে উঠেছে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ। বাস্তব রূপ পেয়েছে শিল্পীদের কল্পনা। আইনি লড়াইয়ে বারোয়ারি পুজো কমিটিদের সংগঠন। কিন্তু, এতসবের মধ্যেও হুজুগে বাঙালির আকর্ষণের কেন্দ্রে চিকিৎসকরূপী করোনাসুর বধকারীনি দেবী দুর্গা। নেট দুনিয়ায় আপাতত ভাইরাল মায়ের এই ডাক্তার রুপ।
করোনাকালে ঈশ্বরের স্থান দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের। তাই এবার মাকেও তুলে ধরা হয়েছে চিকিৎসকের আদলেই। লাল-পড়া শাড়ির বদলে মায়ের পরনে রয়েছে অ্যাপ্রন। প্রথাগত ত্রিশূলের বদলে দু-হাতে মা বিশালাকার সিরিঞ্জ দিয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে বধ করছেন করোনারূপী মহিষাশুরকে। সিংহের বদলে দেবী দুর্গার সঙ্গে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।
শুধু দেবী দুর্গাই নয়, মহামারীকালে মামার বাড়ি আগত তাঁর চার ছেলে-মেয়েও সমানতালে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল। করোনা যোদ্ধা রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে গণেশ,লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিকে। গণেশ ও লক্ষ্মী যথাক্রমে একজন পুলিশ কর্মী ও নার্স হিসাবে ধরা দিয়েছেন মণ্ডপে। আর সবস্বতী, কার্তিককে দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা ও স্যানিটাইজেশন কর্মীর রূপে।
এর আগে আমরা দেখতে পেয়েছি কলকাতার বরিশা, সল্টলেক আর কেষ্টপুরেও পরিযায়ী শ্রমিকের বেশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মায়ের রূপ। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। এবার সেই তালিকায় সংযোজিত হল করোনারূপী মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা। কিন্তু, বাংলায় কোথায় মায়ের এই রূপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে?
এই বিষয়ে ফেসবুকে নিত্য পাল নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন শিলিগুড়িতে দেবীর করোনারূপী মহিষাসুরমর্দিনীর এই রূপ প্রতিভাত হচ্ছে। মৃত্ শিল্পী জীতেন পাল। আবার অনেকেই বলেছেন, প্রতিমার এই রূপ আসাম ও ঝাড়খণ্ডের। ফলে এখনো এই দেবীর প্রকৃত অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।