দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বাংলা ভাষায় টুইট করা নিয়ে আলোচনা চলছে জোর কদমে। বাঙালিদের মন জয় করতে উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। তার জেরেই তিনি সল্টলেকের EZCC’র পুজো উদ্বোধন করেছেন। শুধু তাই নয়, ভার্চুয়াল সভাও করেন তিনি। খাদি পাঞ্জাবি পরে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা ও দেন। সেদিনের ভাষনে দূর্গাপুজোর আন্তরিক অভিনন্দন ও জানান সকলকে। তাঁর বক্তৃতার সম্পূর্ণটাই ছিল বাংলা ভাষায়।সেদিনের বক্তৃতার পর এবার আবার ও টুইট করে গোটা বাংলাকে মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
নিম্নচাপ কেটেছে। বাঙালী মেতেছে পুজোর আমেজে। সকলে শাড়ি-পাঞ্জাবি, মাস্ক পরে অঞ্জলি দিতে গিয়েছেন পুজো মণ্ডপে।আর তার আগেই সকাল বেলায় গোটা রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর শুভকামনা করে টুইট করে মহাঅষ্টমীর শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেখানে তিনি লিখেছেন, সকলকে জানাই মহাঅষ্টমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা। মা দুর্গার আশীর্বাদে সমগ্র দেশবাসীর জীবন যেন সুখে শান্তিতে , স্বাস্থ্য়-সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ থাকে, এই কামনা করি।’
মহা ষষ্ঠীর পর আবারও বাংলায় টুইট শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তাক লাগিয়েছেন রাজ্যেবাসীকে।
বাংলা ভাষায় কথা বলার লোভ সামলাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী, ষষ্ঠীর পুজো উদ্বোধনের বক্তৃতায় এমনই দাবি করেছিলেন তিনি। তারপর একদিন কাটতে না কাটতেই আবার বাংলায় টুইট। দেশবাসীকে মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি প্রত্যেকের সুখ শান্তি, সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধিও কামনা করেন তিনি।
এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে জোর কদমে। বিরোধী দলগুলিও ও নানান মন্তব্যে মেতে উঠেছেন।বিরোধীদের দাবি, পাখির চোখ নির্বাচন। আর সেকথা মাথায় রেখেই কার্যত বাঙালির মন জয়ের চেষ্টা করছেন মোদি। তাই তিনি বাঙালির আবেগে ধাক্কা দিতে দুর্গাপুজোকে বেঁছে নিয়েছেন। ঠিক সে কারণেই পুজো উদ্বোধনের বক্তৃতায় বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। মহাষষ্ঠীতে বাংলা ভাষায় টুইটও করেছেন।
তবে গেরুয়া শিবির এই অভিযোগ বারবার খণ্ডন করেছেন। বরং তাদের দাবি, কোভিডের কারণে চলতি বছরের পুজো একেবারেই ব্যতিক্রমী। আর ঠিক সে কারণেই সাধারণ মানুষকে করোনা নিয়ে সতর্ক করতেই বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। তবে বাংলা ভাষায় মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটের কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি গেরুয়া শিবির।