দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ শারদীয়া দুর্গাপুজোর দশম তম দিন, আজ মায়ের বিসর্জনের সাথে সাথে শুরু হয়ে যাবে বিজয়াদশমী পালন। তবে আজ এই দিনটি সারা দেশে বিভিন্ন কারণে পালিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৃথক পৃথক ভাবে উদযাপিত হয়ে থাকে এই বিজয়াদশমী।
উত্তর ভারতের রাজ্যে বিজয়াদশমী ধর্মপুনরুদ্ধার ও সুরক্ষার জন্য এবং মহিষাসুরের বিরুদ্ধে মা দুর্গার জয়কে স্মরণ করে দুর্গাপুজোর সমাপ্তি রূপে চিহ্নিত করা হয়। উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে, উত্সবটি ‘বিজয়াদশমী’ শব্দের প্রতিশব্দ ‘দশেরা’ নামে ও পরিচিত। যা আবার বলা হয় ‘দাসরা’ বা, ‘দশহরা’। এই অঞ্চলগুলিতে এই দিনটি রাবণের বিরুদ্ধে রামের জয়ের কথা মনে রেখে রামলীলার সমাপ্তি রূপে চিহ্নিত করা হয়।
আবার অর্জুন এই দিনে একাই এক হাজারেরও বেশি সৈন্যকে ধ্বংস করেন এবং তাছাড়া মহাভারতের যুদ্ধে অর্জুনের কাছে ভীষ্ম দ্রোণ কর্ণ অশ্বথামা মত বীরের পরাজয় যা মন্দের প্রতি মঙ্গল অর্জনের এক তাত্পর্যপূর্ণ উদাহরণ বলে ধরা হয়। বিকল্পভাবে, এটি দেবী, দুর্গার জন্য শ্রদ্ধার পরিচয় বহন করে।
বিজয়াদশমী উদযাপনে একটি নদী বা মহাসাগরের সম্মুখভাগে শোভাযাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দেবী পূজার সঙ্গে জড়িত। সঙ্গীত ও মন্ত্র সহ দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের মাটির মূর্তি বহন করে এবংশোভাযাত্রার শেষে মূর্তিগুলি জলে বিসর্জন দেওয়া হয়। কিন্তু এবছরে সেই অনুষ্ঠান হচ্ছে না কলকাতায়।
তাছাড়া ‘দশেরা’তে রাবনের মূর্ত প্রতীকগুলি দুষ্টের প্রতীক হিসাবে আতশবাজি দিয়ে পোড়ানো হয়ে থাকে। এটি অশুভ শক্তির ধ্বংসকে চিহ্নিত করে। এই উত্সবটি গুরুত্বপূর্ণ আলোর উত্সব দীপাবলিও দেওয়ালির প্রস্তুতিও শুরু করে, যা যথাক্রমে বিজয়াদশমীর ১৯ দিন ও ২০ দিন পরে পালিত হয়ে থাকে।