দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মঙ্গলবার হাতরস কাণ্ডে’র CBI তদন্তের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলো সুপ্রীম কোর্ট। উচ্চআদালত জানিয়েছে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের উপরে নজরদারি চালাবে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রীমকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা ছাড়াও সমাজকর্মী এবং আইনজীবীদের দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু এই ঘটনার তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, তাই উত্তর প্রদেশে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। গত ১৫’ই অক্টোবর এই বিষয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত।
সুপ্রীম কোর্টে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী দাবি করেন, ঘটনার তদন্ত শেষ হলেই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া উত্তর প্রদেশ থেকে রাজধানী দিল্লির কোনও একটি আদালতে স্থানান্তরিত করা হোক। উলেখ্য, এই নিন্দনীয় ঘটনায় আগাগোড়াই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ, প্রশাসনের বিরুদ্ধে হুমকি এবং অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন সমাজকর্মী এবং আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং-ও উত্তর প্রদেশে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
যদিও এই বিষয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা পাল্টা আদালতকে জানান, ইতিমধ্যে নির্যাতিতার পরিবারকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিজেদের হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। আর যোগী আদিত্যনাথ সরকার সিবিআই-কে হাতরস কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দিয়েছ। তবে শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হলেও উত্তরপ্রদেশ সরকারের আপত্তি নেই বলে জানানো হয়েছে সুপ্রীম কোর্টে।
উল্লেখ্য, গত ১৪’ই সেপ্টেম্বর হাতরাসের গ্রামে ১৯ বছর বয়সি এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ এবং নির্মম অত্যাচার করে উচ্চবর্ণের চার যুবক। গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তড়িঘড়ি নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ।