দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:’আরোগ্য সেতু’ অ্যাপের ডেটা সুরক্ষা নিয়ে ওঠা RTI প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় বিতর্ক দানা বাঁধতেই তড়িঘড়ি আসরে নামলো কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছে অতিমারী সঙ্কটে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় স্বচ্ছভাবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ তৈরি করা হয়েছিল।
সরকারের তরফে বলা হয় অতিমারীর আবহে, ‘মাত্র ২১ দিনের রেকর্ড সময়ে আরোগ্য সেতু অ্যাপ তৈরি করা হয়েছিল। অতিমারী সঙ্কটে লকডাউনের সময় একটি ভারতীয় কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। সেই চাহিদা পূরণ করতেই দেশের শিল্প, শিক্ষা জগত্ এবং সরকারের বিভিন্ন আধিকারিকরা দিনরাত কাজ করে আরোগ্য সেতুর মতো একটি সুরক্ষিত অ্যাপ তৈরি করেছিল।
কেন্দ্র তাদের বিবৃতিতে আরও জানায় যে দেশজুড়ে করোনা ঠেকাতে আরোগ্য সেতু অ্যাপের ভূমিকা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকাই উচিত নয়। এই অ্যাপটি তৈরির কাজে যারা যুক্ত, তাদের নাম পাবলিক ডোমেইনে আগে থেকেই রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ। কেন্দ্র বারবার এই অ্যাপ ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে। আরোগ্য সেতুর ওয়েবসাইটে লেখা, অ্যাপটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার এবং কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। কিন্তু এই দুই বিভাগের কাছে আরটিআই করে সেকথাই জানতে চাওয়া হয়েছিল। দু’টি বিভাগই অস্বীকার করেছে। জানিয়েছে, তারা অ্যাপটি তৈরি করেনি। তাহলে তৈরি করল কে? সেই নিয়েই ধন্দ।
আর এই ধন্দ নিরসন করতে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। আরটিআই-এর শীর্ষ কর্তা নোটিসে লিখেছেন, ‘কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে অস্বীকার করলে তা মানা যায় না।’ আরও অভিযোগ, ‘চিফ পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারদের মধ্যে কেউই বলতে পারেননি, এই অ্যাপ কে তৈরি করেছে। তাহলে প্রাথমিক ফাইলগুলো কোথায়। যা খুবই হতাশজনক।’
প্রসঙ্গত, সমাজকর্মী সৌরভ দাস আরোগ্য সেতু’র তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ধন্দ নিয়ে কমিশনে নালিশ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আরটিআই করে এই অ্যাপ সম্বন্ধে বিশ্বাসযোগ্য কোনও তথ্য মিলছে না। তার পরেই নড়চড়ে বসে তথ্য কমিশন। এই বিষয়টি সামনে আসতেই ওই বিভাগগুলিকে ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে হাজিরা দিতে হবে।
বৈশ্বিক অতিমারি আবহে করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে নানান তথ্য দেয় আরোগ্য সেতু অ্যাপ। এমনকি আপনার আশপাশে বা আশেপাশের অঞ্চলে কোথাও কোনো করোনা রোগী রয়েছে কি না, তা জানা যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে। এমনটাই দাবি করেছিল কেন্দ্র সরকার। এমনকী, ওই অ্যাপটি ট্রেনে এবং বিমানে সফরের সময় মোবাইলে থাকা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।