দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ভিন্ন ধর্মালম্বী এক যুগলের পিটিশন খারিজ করে দিয়ে আজ এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ কথা জানালো। ওই যুগলের পিটিশনে বলা হয়েছিল যে পুলিশ ও মেয়েটির বাবা যেন দম্পতির বৈবাহিক জীবনে হস্তক্ষেপ না করে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশ দিক আদালত।
ওই যুগলের পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে প্রিয়াংশী ওরফে (ধর্ম পরিবর্তণ করার পর) সমরিন ও তাঁর স্বামী ইয়াচি (ইসলাম ধর্মাবলম্বী) জুলাই মাসে বিয়ে করেছেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের লোকেরা হস্তক্ষেপ করছে বৈবাহিক জীবনে। বিচারপতি এমসি ত্রিপাঠি বলেন যে প্রিয়াংশী বিয়ের ঠিক এক মাস আগে ধর্ম পরিবর্তন করেছে। অর্থাৎ এটি স্পষ্ট যে বিয়ে করার জন্যই ধর্ম পরিবর্তণ করে এই তরুণী। বর্তমানে মুসলমান ধর্মালম্বী সমরিন ২৯ জুন ধর্ম পরিবর্তন করেন ও পরে ৩১ জুলাই বিয়ে করেন।
নুর জাহান বেগম মামলায় ২০১৪ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছিল যে শুধু বিয়ের জন্য ধর্মান্তকরণ মেনে নেওয়া যাবে না। সেই মামলার প্রসঙ্গ টেনেই পিটিশনটি এদিন খারিজ করে দেয় আদালত।
নুর জাহান বেগম মামলায় আদালতের সামনে প্রশ্ন ছিল যে একটি হিন্দু মেয়ের ইসলাম সম্বন্ধে কোনও জ্ঞান না থাকা অবস্থায় কেবল মুসলমান ছেলের সঙ্গে বিয়ে করার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করা কি বৈধ। মুসলমানদের ধর্মীয় বই কোরানের সাহায্য নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্ট তখন বলে যে এমন ক্ষেত্রে বিয়ের জন্য ধর্মপরিবর্তন ভ্যালিড নয়। এবার সেই রায়ই ফের ব্যবহার করল আদালত।
কুরআনের হাদিস উদ্ধৃত করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে যে ইসলাম সম্পর্কে না জেনে এবং বিশ্বাস ছাড়া ধর্ম পরিবর্তন করা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ইসলাম বিরোধী। একই রায় উদ্ধৃত করে আদালত মুসলিম-হিন্দু-বিবাহিত ইয়াচিকে স্বস্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।