দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সম্প্রতি পুলওয়ামা হামলার দায় পাকিস্তান পার্লামেন্টে স্বীকার করেছে পাকিস্তান। সেই প্রসঙ্গ তুলেই নাম না করে বিরোধীদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাক সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, “প্রতিবেশী দেশের সংসদে সত্যিটা স্বীকার করা হয়েছে, তাই এই লোকগুলোর (বিরোধী) আসল চেহারা দেশের সামনে ফুটে উঠছে। দয়া করে আর এমন রাজনীতি আর করবেন না।”
আজ স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা জানানোর পর ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আধা সেনার প্যারেড দেখতে দেখতে মনে পড়ছিল পুলওয়ামা হামলার কথা। সেই হামলায় আমাদের শহিদরা আধা সেনারই অংশ ছিলেন। সেই সময় গোটা দেশ শোকে কাতর ছিল। কিন্তু, কিছু লোক সেই সময় নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তবে আমার হৃদয়ে বীর শহিদদের জন্য গভীর ক্ষত থাকায় বিরোধীদের সমস্ত কুরুচিকর, ভিত্তিহীন অভিযোগ চুপচাপ সহ্য করেছিলাম।”


এরপরই পুলওয়ামা হামলার কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন,”প্রতিবেশী দেশের সংসদে সত্যিটা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাই এই লোকগুলোর আসল চেহারা দেশবাসীর সামনে ফুটে উঠেছে। দয়া করে এই ধরণের রাজনীতি করবেন না। এ ধরণের কাজে সচেতন বা অবচেতনে আপনারা দেশবিরোধী শক্তির আশ্রয় হয়ে যাচ্ছেন। এতে দেশের উপকারতো হয়ই না, আপনাদের দলেরও ক্ষতি হবে।”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ইমরান খান মন্ত্রি সভাসদ পাকিস্তানের যুক্তরাষ্ট্রীয় মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সংসদে দাঁড়িয়ে একটি বিতরকের জবাবে বলেছিলেন, ‘পুলওয়ামা আমাদের সাফল্য। ভারতকে ঢুকে ওদের মারতে পেরেছি। পাক মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই সে দেশে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই তড়িঘড়ি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সোসাল মিডিয়াতে জানান তাঁর মন্তব্যের ‘ভুল’ ব্যাখ্যা হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে আসল সত্য প্রকাশিত। সেই প্রসঙ্গ টেনেই পুলওয়ামা প্রসঙ্গে বিরোধীদের বিঁধলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বর্তমানে ভারতের সীমান্তনীতির বদল হয়েছে। এখন কেউ চোখ তুলে ভারতের কোনো অংশের দিকে তাকালে বা দখলের চেষ্টা করলে সেনা তার উচিত জবাব দিতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, এই মঞ্চ থেকে চীনকেও করা বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপূর্ব লাদাখের গালোয়ান প্রদেশে চীনের অনুপ্রবেশ ও ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের ‘শহীদ’ হয়ে যাওয়ার পর এখনো অচলাবস্থা অব্যহত। সেই মূহুর্তে সীমান্তনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আজকের এই বক্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।