দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে (এপ্রিল থেকে জুন) বাজারে আসতে পারে কোভ্যাক্সিন। ভারত বায়োটেকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলেই উক্ত সময়ের মধ্যে মিলবে ভারতে প্রথম করোনাভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) – ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (NIV) সঙ্গে যৌথভাবে সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ বলেছেন, ‘ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ের উপযুক্ত পরীক্ষামূলক প্রমাণ ও তথ্য, কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর যদি সব অনুমোদন পাই, তাহলে আমরা ২০২১ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে টিকা আনার পরিকল্পনা করছি।’
আপাতত জোরকদমে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রস্তুতি চলছে। প্রসাদ জানান, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর যাবতীয় প্রস্তুতি চালানো হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি নভেম্বরে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে এবং টিকা প্রদান করা হবে। দেশের ১৩-১৪ টি রাজ্যের ২৫-৩০ টি হাসপাতালে সেই ট্রায়াল চলবে। হাসপাতালপিছু প্রায় ২,০০০ জন নথিভুক্ত হতে পারেন।
টিকা তৈরির ব্যয় প্রসঙ্গে ভারত বায়োটেকের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জানান, নয়া উৎপাদন কেন্দ্র এবং টিকা তৈরির জন্য ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সংস্থা। এর পাশাপাশি তিনি জানান, অনুমোদন পেলে সেই টিকা সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাকেও বিক্রি করা হবে। প্রসাদের আরও জানান যে, “আমরা সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাকেও জোগানে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। সে বিষয়ে কয়েকটি অন্যান্য দেশের সঙ্গেও প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা চলছে।”
তবে টিকার দাম প্রসঙ্গে প্রসাদ জানান যে এখনও টিকার দাম নির্ধারণ হয়নি। তবে, এখন টিকা তৈরির খরচের দিকে নজর আছে সংস্থার। এই টিকা কিনতে কত টাকা লাগবে, সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে।