দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: উত্সবের মরশুমেই সারা দেশে বাড়ে দূষণ। সমস্ত রকম দূষণই পরিবেশকে বিষিয়ে তোলে। যার মধ্যে অন্যতম হল নদী দূষণ। সারা পৃথিবী জুড়েই জলভাগে পড়ে থাকা প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন পরিবেশবিদরা। প্লাস্টিকের প্রভাবে কীভাবে নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে, কীভাবে জলের প্রাণীদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে, তা বারবার তুলে ধরেছেন তাঁরা। তবু মানুষের হুঁশ ফেরেনি। প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা কমেনি বিন্দুমাত্র। আর সেখানেই, সেই লড়াইয়েই হিরো নাসিকের ইন্দিরানগরের চন্দ্র কিশোর পাতিল।
চন্দ্র কিশোরের একটি ছবি ট্যুইট করেছেন ফরেস্ট অফিসর শ্বেতা বদ্যু। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি গোদাবরী নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখে একটি বাঁশি। আর কেউ প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে ফেলতে এলেই তাঁকে হুইসেল বাজিয়ে আটকাচ্ছেন। আর যারা পালস্টিক ফেলে যাচ্ছেন তাদের সেই প্লাস্টিক তুলে এনে জড়ো করছেন পাড়ে। এভাবেই প্লাস্টিক দূষণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া জলভাগকে রক্ষা করতে করতে গোদাবরীর পাড়ে তিনি জমিয়ে ফেলেছেন প্লাস্টিকের স্তুপ। গোদাবরীকে এক হাতে রক্ষা করছেন মাতৃভক্ত ছেলের মত।
চন্দ্রকিশোর পাতিল এই প্রথম এই কাজ করছেন, এমন কিন্তু নয়। তিনি একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, শেষ পাঁচ বছর ধরে এই এ কাজ করে চলেছেন। যাঁরা এই নদীর আশেপাশে থাকেন, তাঁরা শেষ কয়েকবছর ধরে দেখছেন পাতিলকে। তাঁরা জানেন, উত্সবের মরশুমে সাধারণত নদী প্রবল দূষণের মুখে পড়ে। আর সেই দূষণের মুখ থেকে রক্ষা করে চলেন পাতিল।
পাঁচ বছর আগে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আজও সেই সিদ্ধান্তে অটুট আছেন। তিনি জানিয়েছেন, সকাল ১১টা থেকে তিনি নদীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। সঙ্গে থাকে একটি বাঁশি। তিনি বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে বারবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন, যাতে তাঁরা নদীতে ময়লা না ফেলেন। অনেকে হয়ত তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করে, তবু নিজের দায়িত্ব থেকে সরে জাননি তিনি।