দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দিল্লি থেকে উহানগামী বন্দে ভারত বিমানের উড়ান আপাতত স্থগিত। গতকাল চীনে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের সেদেশে পৌঁছে দিতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যাত্রা শুরু করার কথা ছিল কিন্তু সে যাত্রীদের মধ্যে ১৯ জন করোনা আক্রান্ত বলে সূত্রের খবর। যদিও এয়ার ইন্ডিয়া দাবি করেছে, সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মেনেই যাত্রীদের বিমানে তোলা হয়েছিল। এমনকি ল্যাবরেটরি টেস্টে যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল।
উল্লেখ্য, ‘বন্দে ভারত মিশন’ এর বিমানে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার আগে কোভিড গাইডলাইন মেনে দু’বার নমুনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, প্রথমবার সব যাত্রীরই কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু পরে ধরা পড়ে যাত্রীদের মধ্যে ১৯ জনের শরীরে সংক্রমণের জীবাণু রয়েছে। আক্রান্ত যাত্রীদের সংস্পর্শে এসে বাকিদের মধ্যেও রোগ ছড়িয়েছে কিনা সে সন্দেহও তৈরি হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর , এই ব্যাপারে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। উল্লেখ্য, গত বুধবারও হংকংগামী উড়ানে মুম্বইয়ের কয়েকজন যাত্রীর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় সে উড়ানও থমকে গিয়েছিল। এই ঘটনা সামনে আসায়, আপাতত এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত উড়ান বাতিল করেছে হংকং। ভারত থেকে প্রায় ১৫০০ জন চীনে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। গতকাল, সোমবার ২৭৭ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীদের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় উড়ান থমকে যায়।
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, ওই আক্রান্ত যাত্রীরা ছাড়াও বিমানের আরও ৩৯ জন যাত্রী উপসর্গহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁদের নমুনা নতুন করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ওই ৫৮ জন যাত্রীকে কোভিড হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মে মাস থেকে ‘বন্দে ভারত মিশন’ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পরে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ।
ইতিমধ্যে জুলাই মাসের ৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে বন্দে ভারত মিশনের চতুর্থ দফা। মোট ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৭ জন ভারতীয় অন্য দেশ থেকে ফিরতে চেয়েছিলেন, বন্দে ভারত মিশনের মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে চার লক্ষাধিককে ফেরানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। অন্যদিকে দেশ থেকে ভারতীয়দের বিদেশে তাদের গন্তব্যে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজও চলছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ১৩ নভেম্বর থেকে আরও চার দফায় ভারত-চীন বিমান পরিষেবা চলবে। তবে কোভিড প্রোটোকল মেনে ও যাত্রীদের বৈধ কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখে তবেই যাত্রা করা হবে। কিন্তু এই ঘটনা আরও একবার ভারতের ল্যাব গুলিতে ভরসা যোগ্য করোনা টেস্টের বিষয় নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তৈরি করলো।