দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মঙ্গলবার বিহারের নির্বাচনী জনসভা সাক্ষী রইল আর একটি বিক্ষুব্ধ জনতার রোষের। আজ মধুবনী অঞ্চলে নির্বাচনী জনসভা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ (JDU) নেতা নীতীশ কুমার। এমন সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পেঁয়াজ। সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষীরা তাঁকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন। তার মধ্যেই তিনি ভাষণ চালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, নীতীশ কুমার যখন ভাষণে বিহারের কর্মসংস্থানের কথা বলছেন, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে এই পেঁয়াজ ছোড়া হয়। তিনি এই ঘটনায় রেগে না গিয়ে বলেন , “খুব ফেকো খুব ফেকো।” অর্থাত্ আরও ছোড়ো আরও ছোড়ো। যে পেঁয়াজ ছুড়েছিল, তাকে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা পাকড়াও করলে নীতীশ বলেন, “ওকে ছেড়ে দাও। ওকে অত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।” এর পরে নীতীশ কুমার আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সমালোচনা করেন।
তেজস্বীর সমালোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কীভাবে তেজস্বী ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়ার কথা বলছেন? তাঁরা বাবা লালুপ্রসাদ যাদব এবং মা রাবড়ি দেবী ১৫ বছর ধরে বিহারকে শাসন করেছেন। তখন তাঁরা কাউকে চাকরি দিতে পারেননি। এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে ছাপরায় নীতীশের সভায় কয়েকজন “লালুপ্রসাদ যাদব জিন্দাবাদ” স্লোগান দেয়। তা শুনে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যাঁরা এইসব আজেবাজে কথা বলছেন, তাঁরা হাত তুলুন।” এর পরে তিনি বলেন, “আপনারা যদি আমাকে ভোট দিতে না চান, তাহলে দেবেন না। কিন্তু এভাবে হল্লা করবেন না।”
উল্লেখ্য, এদিন বিহারে চতুর্থবারের জন্য ভোট প্রচারে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, তাতে বোঝা যায়, বিহারে চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে এনডিএ। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “বিহার একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, তাতে মনে হয়, এই রাজ্যে চতুর্থবারের জন্য এনডিএ নির্বাচিত হতে চলেছে। ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাবে।”
এর পাশাপাশি আরজেডি নেতৃত্বাধীন জোটের সমালোচনা করে মোদী বলেন,”যারা একসময় বিহারে জঙ্গলরাজ এনেছিল, তারা কী চায়? তাদের বন্ধুরা কী চায়? তারা চায়, আপনারা যেন ভারত মাতা কি জয় উচ্চারণ না করেন। এই পবিত্র ভূমিতে দেবী ছটের পুজো করা হয়। এখানে কেউ জাতির জন্য স্লোগান দেবে না, তা কি হয়?”
বাম ও কংগ্রেস জোটের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটি গোষ্ঠী বলে, ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দেওয়া চলবে না। আর একটি গোষ্ঠী বলে, ওই স্লোগান শুনলে তাদের মাথায় ব্যথা হয়। এখন দু’টি গোষ্ঠী একজোট হয় বিহারের মানুষের ভোট চাইছে। তারা চায় না আপনারা জয় শ্রীরাম উচ্চারণ করুন।” এর আগে আজ সকালে বিহারে যাওয়ার আগে বাগডোগরা বিমান বন্দরে নামেন মোদী। সেখানে তাঁকে সম্মান জানান নিশীথ প্রামানিক সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর দার্জিলিং এর ডিএসপি আর ডিএম কে খোঁচা মেরে প্রধানমন্ত্রী বলেন “অউর কিতনে কো অন্দর করেঙ্গে?” “অউর কিতনে এফআইআর করেঙ্গে?”