দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের নেপাল সফরের আগে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে বলেন, এই সফর উভয় সামরিক বাহিনীর সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে একটি সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। এই তিনদিনের নেপাল সফরে তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিরসাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর সাথেও সাক্ষাৎ করবেন।
মঙ্গলবার জেনারেল নারাভানে এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি তাদের আন্তরিক আমন্ত্রণে নেপাল ভ্রমণ করতে পেরে আনন্দিত এবং আমার সহযোগী জেনারেল পূর্ণচন্দ্র থাপার সাথে দেখা করতে পেরে আনন্দিত। আমি নিশ্চিত এই সফর দুই সৈন্যদলের বন্ধুত্বের বন্ধন কে শক্তিশালী করতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”
এই সফরে তাঁকে নেপাল সেনাবাহিনীর জেনারেলের সাম্মানিক মর্যাদা প্রদান করা হবে। জেনারেল বলেন যে তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞ এবং তিনি “এই সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন”।
নেপালে, ভারতীয় সেনাপ্রধানের সফর, যদিও সরকারী রেকর্ড অনুযায়ী একটি রুটিন সফর বলা হয়, একটি ঐতিহ্য এবং প্রথা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দেয় যা উভয় পক্ষ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে বজায় রেখেছে।
নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল থাপা গত বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেলের সাম্মানিক মর্যাদা পেয়েছিলেন।
সীমান্ত বিতর্ক নিয়ে নেপালে বিক্ষোভের পর কয়েক মাস ধরে উত্তেজনার পর থেকে জেনারেল নারাভানের কাঠমান্ডু সফরও তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, গত মার্চে জেনারেল মন্তব্য করেছিলেন যে নেপাল “অন্য কারো নির্দেশে” কাজ করছে যা পরোক্ষভাবে চীনের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেছিল যা কিছু সময়ের জন্যে ভারতের সাথে নেপালের সম্পর্ক কিছুটা হলেও জটিল স্তরে নিয়ে গিয়েছিলো ।
এই প্রসঙ্গে ১৫’ই মে জেনারেল নারাভানে পরামর্শ দেন যে নেপাল হয়তো লিপুলেখ থেকে মানসসরোবর পর্যন্ত ভারতীয় সড়ক নির্মাণের বিষয়টি চীনের কাছে উত্থাপন করছে। নেপাল এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল এবং এতে দু দেশের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে চাপে পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি, দুই দেশ তাদের ভগ্ন সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছে, এবং জেনারেল নারাভানের এই সফর দু দেশের পক্ষ থেকেই গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করা হবে।
নেপালে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের মুখপাত্র নবীন কুমার বলেছেন, জেনারেল নারাভানের এই সফর “দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিনের এবং প্রথাগত বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও গভীর করবে” এবং “উভয় পক্ষের দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা এবং পারস্পরিক সুবিধাকে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ প্রদান করবে।”
নেপাল সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই সফর উভয় পক্ষের মধ্যেই সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে। সূত্র জানিয়েছে, কূটনৈতিক চাপের সময়েও দু দেশের সামরিক সম্পর্ক মসৃণ ছিল।