দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সঠিক সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যেই ভারতে মিলতে পারে করোনাভাইরাসের টিকা। এমনটাই নিশ্চিত করলেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সিইও আদর পুনাওয়ালা।
গতকাল একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে সেরামের সিইও জানান, ‘‘ভারত ও ব্রিটেনে ট্রায়ালের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে যদি সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাই, তাহলে আমরা আশা করতে পারি যে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভারতে টিকা পাওয়া যাবে। তবে সেটিকে অনাক্রম্যতা এবং কার্যকারিতার প্রমাণ দিতে হবে।’’
সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার যৌথভাবে তৈরি করোনাভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’- ‘কোভিশিল্ড’ এর উৎপাদন করছে। শুধু তাই নয়, আপাতত ভারতে সেই সম্ভাব্য টিকার দ্বিতীয়/ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। উল্লেখ্য, এই দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১,৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবক যোগ দিয়েছিলেন। আর গত মাসেই শুরু হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। স্বস্তি’র খবর এই যে আপাতত কোনও উদ্বেগের বিষয় নেই এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে।
এই বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘আপাতত ট্রায়াল নিয়ে যে তথ্য আছে, তাতে কোভিশিল্ড নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্বেগজনক কোনও কিছু মেলেনি। কোনওরকম সুরক্ষাজনিত উদ্বেগ ছাড়াই এখনও পর্যন্ত ভারত ও বিদেশে হাজার হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।’’ তবে এই টিকার দীর্ঘকালীন প্রভাব বুঝতে দু’তিন বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর পড়েই করা হয় জনসাধারণের চিরপ্রতীক্ষিত প্রশ্ন। জানুয়ারিতে ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা চলে আসলেও তার দাম কত হবে? তা নিয়ে আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘দাম নিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। আমরা নিশ্চিত যে দাম সর্বজনের সাধ্যের মধ্যেই হবে।’ উল্লেখ্য, এই টিকার দাম ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে ‘কস্ট টু প্রাইস’ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে অর্থাত কোনো লাভ না রেখেই শুধুমাত্র তৈরির খরচের দামেই বিক্রি করা হবে এই টিকা।