দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক, এটা অনুমান করা যেতে পারে যে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পরেও শরীরে এই ভাইরাসটিকে জীবিত পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, আক্রান্তের ফুসফুসও আড়াই গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা আক্রান্ত বন্দীর মৃতদেহের ময়নাতদন্তের মাধ্যমে এই তথ্য সামনে এসেছে।
তবে এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করলো যে করোনা ভাইরাস ফুসফুসের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। উল্লেখ্য, কনৌজের গুরসাহিগঞ্জের বাসিন্দা এক কৃষককে (৭০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ১০ অক্টোবর তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে জেল প্রশাসন তাকে তিরওয়া মেডিকেল কলেজে রেফার করে।
ডাক্তার’রা তার শরীরে করোনা নিশ্চিত হওয়ার পর ১৭’ই অক্টোবর তারিখে তাকে কানপুরের হেলট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি ২২ শে অক্টোবর সকালে মারা যান। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পর ২৪ শে অক্টোবর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির পর দুই চিকিৎসকের একটি দল বন্দী দেহের তিন ঘণ্টার ময়নাতদন্ত করেন।
ওই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, আক্রান্তের মৃত্যুর পরেও করোনা ভাইরাস তার গলা, নাক এবং ফুসফুসে জীবিত ছিল। উভয় ফুসফুসের ওজন প্রায় ২১০০ গ্রাম হয়েছিল। যেখানে ডান ফুসফুসের ওজন ৪৪৫ গ্রাম এবং বাম ফুসফুসের ওজন ৩৯৫ গ্রাম হয় সেখানে এই ওজন প্রায় দ্বিগুন ছিল।
এই নিয়ে সারা দেশে চারটি সংক্রামিত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে বিভিন্ন বয়সের করোনা আক্রান্ত ছিল। প্রথমে ভোপাল এইমস-এ (২৩ বছর বয়সী) , তার পর পাঞ্জাবে (১২ বছর বয়সী) , বেঙ্গালুরুতে (৬২ বছর বয়সী) এবং অবশেষে কানপুরে (৭০বছর বয়সী) করোনা আক্রান্ত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
একমাত্র এই ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে, ফুসফুস দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি ছিল এবং করোনা ভাইরাস জীবিত ছিল। এই প্রসঙ্গে ডাঃ নবনীত চৌধুরী, পোস্টমর্টেম হাউস ইনচার্জ এর বক্তব্য,”এই ময়নাতদন্তে ডাক্তারর নিশ্চিত হন যে রোগীর মৃত্যুর পরেও করোনা ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে। আক্রান্ত ফুসফুসের ওজন অনেক বেড়ে গেছে। এটা এটাও পরিষ্কার করে যে করোনা ভাইরাস ফুসফুসের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।”