দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ভুবনেশ্বর জেলে থাকাকালীন চিটফান্ড সংস্থা আইকোরের মালিক অনুকূল মাইতির আচমকাই মৃত্যু হল। তবে তার মৃত্যুর কারণ রহস্যজনক বা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে ২০১৭ সালে সিবিআই গ্রেফতার করে। তাঁর স্ত্রী কণিকাকেও গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ওড়িশার এক প্রতারিত লগ্নিকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছিল সিবিআই। সে কারণেই অনুকূলকে গ্রেফতারের পরে সরাসরি ওড়িশা নিয়ে যাওয়া হয়। তবে থেকেই ভুবনেশ্বরের ঝারপড়া বিশেষ কারাগারে রাখা হয়েছিল অনুকূলকে। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকালেই ভুবনেশ্বর থেকে তাঁর স্ত্রী কণিকা মাইতিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। ওড়িশার কারা দফতর সূত্রে খবর, জেলে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মধ্যবয়সী অনুকূল। বেশ কয়েকবার তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। কারা দফতর সূত্রে খবর, শনিবার রাতে তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসে ভুগছিলেন তিনি। অন্য কয়েকবারের মতোই শনিবার রাতেও তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের আগে, রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি ২০১৫ সালে গ্রেফতার করেছিল এই চিটফান্ড সংস্থার মালিককে। সিবিআইয়ের দাবি, আইকোর বেআইনি ভাবে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা-র কয়েক লক্ষ লগ্নিকারীর কাছ থেকে প্রায় ৩০০০ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল। গোটা টাকাই তাঁরা আত্মসাত্ করেন বলে অভিযোগ।
যদিও এই মামলাতে ধৃতদের অধিকাংশই সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। জানা গেছে, সম্প্রতি কটক হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন অনুকূলও। কিন্তু জামিনের শর্ত হিসেবে প্রয়োজনীয় বন্ডের টাকা জমা দিতে না পারায় জেল থেকে ছাড়া পাননি তিনি। শেষমেশ ওই জেলেই মারা গেলেন তিনি।