দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: রহস্যজনকভাবে লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখতে পাওয়া গেল জম্মু-কাশ্মীরের নীরু নদীতে। যেহেতু ওই নদীর মাছ ধরেই ওই এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর তাই এই ক্ষতিতে মুশরে পড়েছে মত্স্যজীবী পরিবারগুলি। উল্লেখ্য জম্মু কাশ্মীরের ডোডা জেলার ভাদেরওয়াহ এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নীরু নদীতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বিচারে ও অবৈধভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসার ওষুধ নদীতে ফেলার ফলে মাছগুলির মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিশেষ করে গুপ্ত গঙ্গা মন্দির লাগোয়া নদীতে সকালে মরা মাছ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। মাছের এই হটাত্ রহস্য মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, জলে মিশে আছে হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, বেটামেথোসিনের মতো করোনা চিকিৎসার ওষুধ। যা বহুল পরিমাণে নদীতে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের অনুমান ওই ওষুধের জন্যই মৃত্যু মাছের মড়ক লেগেছে।
এই বিষয়ে তদন্তে সামিল অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রাকেশ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে,‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কিন্তু এখনও সঠিকভাবে কারণ জানা যায়নি। গুরুত্ব সহকারে দেখছি, ঘটনার তদন্তে একটি দল গঠন করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’’


এই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ওষুধ প্রসঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এরকমভাবে নদীর ফেলে দেওয়া হয় না। অন্যদিকে, মৎসজীবিরা জানিয়েছেন, ওষুধের মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। কী কারণে কে বা কারা এত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলি নদীর জলে ফেলে গিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। এর পেছনে নাশকতার ধারণাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।