দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: একজন এমএসআরটিসি (MSRTC) কর্মী, যিনি চরম আর্থিক সঙ্কটে ছিলেন, তিনি জলগাঁওতে তার বাসভবনে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে ঘটনাটি সামনে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, জলগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি।
মনোজ অনিল চৌধুরী (৩০) নামক ওই কর্মী জলগাঁও ডিপোতে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। তিনি বলেন, এমএসআরটি কর্পোরেশনে কম বেতন ও অনিয়মের কারণে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বলেন যে এমএসআরএসটি কর্পোরেশন এবং উদ্ধব ঠাকরের সরকার (শিবসেনা) তার এই কঠোর পদক্ষেপের জন্য দায়ী।
ওই কর্মী সুইসাইড নোট এ লিখছেন “আমার আত্মহত্যার সাথে আমার পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই। এসটি সংস্থার উচিত আমার পিএফ এবং এলআইসি (টাকা) আমার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা।”
এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর এমআইডিসি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসটি ইউনিয়ন অফিসের কর্মকর্তারাও অনতিবিলম্বে জেলা হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
এদিকে, গত দুই মাস ধরে বকেয়া পরিশোধ, অক্টোবরের বকেয়া এবং ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বকেয়া অর্জনের দাবিতে মহারাষ্ট্র জুড়ে এসটি কর্মীরা আন্দোলন করে আসছে। এমএসআরটিসি কর্মীরা সিওভিড-১৯ আমলে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করছিলেন। এই মূহুর্তে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে কারণ তারা তাদের কাজের জন্য বেতন পাচ্ছেন না।
গত ৩০ শে অক্টোবর, মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (এমএসআরটিসি) বেতন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ পরিশোধের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৩৬০০ কোটি টাকা চায়। এমএসআরটিসি-র বেতন পরিশোধের জন্য প্রতি মাসে ২৯২কোটি টাকা প্রয়োজন।
এই প্রসঙ্গ সামনে এনে অভিনেত্রী কঙ্গনা রনওয়াত টুইটে লিখেছেন “ये सत्ताओं के ठेकेदार ग़रीबों का हक़ मार के जो बैठें हैं, बड़े विचारे हैं ये क़िस्मत के मारे हमसे पूछते हैं ये इरादे हमारे, हम को इस लड़ाई से क्या हासिल होगा तानाशाहों, एक घर बनाया था वो भी तुड़वा के बैठे हैं”