দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মঙ্গলবার সকাল থেকেই টানাটান উত্তেজনায় বিহার ভোটের গণনা চলছে। এনডিএ শিবিরকে কড়া মোকাবিলা দিচ্ছে মহাজোট। ভোটের প্রবণতা অনুসারে, ম্যাজিক ফিগার ১২৫ আসনে এগিয়ে জেডিইউ-বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তবে, ইভিএম বেশি হওয়ায় বিহারের ভোট গণনা শেষ হতে মাঝরাত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
তবে এবার বিহার ভোটে তুলনামূলক ভাল ফল করছে বাম দলগুলো। ৭৫% ভোট গণনা শেষে অন্তত ১৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বাম দলগুলো। এবার আরজেডি-কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে লড়াই করেছে সিপিআই (এম-এল), সিপিএম ও সিপিআই। মোট ২৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তিনটি বাম দল। এর মধ্যে সিপিআই (এম-এল) ১৯টি, সিপিএম এবং সিপিআই লড়ছে যথাক্রমে ৬ ও ৪টি আসনে।
এখনও পর্যন্ত ফলাফলের যা প্রবণতা সেই অনুযায়ী বিহারের আগিয়াওন, আরা, আরওয়াল, বলরামপুর, বিভূতিপুর, দারাউলি, দারাউন্ধা, ঘোষি, কারাকাট, মাধি, মতিহারি, পালিগঞ্জ, তারারি, ওয়ারিশনগর, জিরাদেই, বাছাওয়ারা ও বাখরি আসনে এগিয়ে রয়েছেন বাম প্রার্থীরা।
বরাবরই বিহারের রাজনীতিতে বড় শক্তি বামেরা। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে বিহারে বামদেরে ভোট কমতে থাকে। এমনকী দলগুলোর অস্তিত্ব টিঁকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ২০১০ বিধানসভা ভোটে সিপিআই মাত্র একটি আসন দখল করতে পেরেছিল। ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা ভোটে সিপিআই (এম-এল) ৩টি আসন পায়। বাকি দু’টি বাম দল সিপিএম ও সিপিআই খাতাই খুলতে পারেনি।
কিন্তু, পাঁচ বছর পর ভোট গণনার প্রবণতা অনুসারে ছবিটা অন্যরকম। দেখা যাচ্ছে বিহারবাসীর আস্থা অর্জনে অনেকটাই সফল হয়েছে এই তিন বাম দল। ভোট বাক্সেও তার প্রভাব লক্ষ্যনীয়। প্রবণতা বিচার করে ভোট বিশ্লেষকদের মতে, বাম দলগুলো ক্যাডারভিত্তিক। বিজেপি বিরোধীতায় সবসময় তারা জোর প্রচার চালিয়েছে। নীতীশ বিরোধী হাওয়া ছিলই, তার সঙ্গে মহাজোটের হয়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিকল্প নীতির প্রচার- বাম দলগুলো উত্থানের মূল কারণ।
গত দু দিন ধরে এক্সিটপোল বাম দলগুলোর লাভের কথা তুলে ধরেছিল। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস এক্সিটপোল জানিয়েছিল, ১৯ আসনের মধ্যে সিপিআই (এম-এল) ১২-১৩টি আসন পেতে পারে।