দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দুদিন আগেই টুইট করে বিশ্ববাসীকে খুশির খবর শুনিয়েছিল মার্কিন সংস্থা pfizer (ফাইজার)। তাদের তৈরি করোনা টিকা ৯০% কার্যকর এই দাবি জানিয়েছিল সেই সংস্থা প্রমাণ হিসেবে দাখিল করেছিল তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট। এবার ভারত সরকারকে সেই ‘করোনা’ ভ্যাকসিন বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করছে ফাইজার।
ফাইজার ইন্ডিয়ার সূত্রে জানা গিয়েছে যে যত দ্রুত সম্ভব ভারতে এই টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তাদের সংস্থা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রেও জানা গিয়েছে যে ফাইজারের সঙ্গে টিকা কেনার বিষয়ে কথাবার্তা এগিয়েছে অনেকটাই। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা ছাড়াও অন্যান্য বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
ফাইজার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র এও জানান যে তারা আশা করছেন চলতি বছরেই এই টিকার ৫ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারবেন তারা ও আগামী বছরের মধ্যেই ১৩০ কোটি ডোজ প্রস্তুত হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় ভারত ছাড়াও যে সব দেশের সঙ্গে চুক্তি হবে, তাদের কাছে যথা সময়ে টিকা পৌঁছে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে ফাইজার।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ভারতীয় কোনও বেসরকারি বা সরকারি সংস্থার সঙ্গে ফাইজারের কোনো চুক্তি নেই। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) যে করোনা টিকা তৈরির উদ্যোগ, সেই ‘Covax-‘এর সঙ্গেও কোনও বোঝাপড়া নেই ফাইজারের। তবে ভারতে ফাইজারের টিকা আসার ক্ষেত্রে কোল্ড চেইনের (Cold Chain) অভাব একটা বড় বাঁধা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই টিকা মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৯০ ডিগ্রিতে স্টোর করতে হবে। সেরকম কোল্ড স্টোরেজ ভারতের অনেক জায়গাতেই নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ঊর্দ্ধতন স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন এই কারণেই ফাইজারের থেকে টিকা নিতে ভারত ইতস্তত করছে। তবে ফাইজার ইন্ডিয়া’র দাবি কিভাবে এই ভ্যাকসিন স্টোর করতে হবে ও মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে সে পরিকল্পনা তারা আগাম তৈরি করে রেখেছে।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ই সবার আগে দেশের মানুষকে দিতে পারবেন তারা। তবে এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তা আগামী মাসে জানা যাবে। এছাড়া ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকাও আগামী ফেব্রুয়ারীতেই বাজারে আসার কথা। এবার এই টিকাগুলির সাথে সেই লাইনে দাঁড়িয়ে ফাইজার ও।