দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ পাঞ্জাবে মালবাহী ট্রেন চালানো স্থগিত রাখার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অল ইন্ডিয়ান কিসান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি (এআইকেএসসিসি) ঘোষণা করেছে যে তারা বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের কৃষকদের দমনের বিরুদ্ধে সারাদেশে ‘সংহতি দিবস’ পালন করবে।
গতকাল অর্থাত্ বুধবার সন্ধ্যায় এআইকেএসসিসি’র একটি অনলাইন সভার পর কৃষক ইউনিয়নগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “অবিলম্বে পণ্যবাহী ট্রেন পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে এক লাখ ইমেইল পাঠানো হবে।” এই ইমেইলগুলো সারা দেশ থেকে কৃষকসহ সকল শ্রেণীর মানুষ পাঠাবে। এআইকেএসসিসি মোদী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
“সারা দেশের সকল কৃষক, কৃষি শ্রমিক সংগঠনকে ১২’ই নভেম্বরকে ‘সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করতে বলা হয়েছে এবং অবিলম্বে ট্রেন চালানোর জন্য পাঞ্জাবের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য এক লাখ ইমেইল পাঠাতে বলা হয়েছে। কীর্তি কৃষক ইউনিয়নের সভাপতি এবং পাঞ্জাবের সকল কৃষক ইউনিয়নের সমন্বয়কারী ডাঃ দর্শন পাল বলেন, “এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপের ব্যাপক নিন্দা করা প্রয়োজন।”
অন্যদিকে কৃষকদের প্রস্তাবিত ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে বলে মনে হচ্ছে না যেহেতু দিল্লি পুলিশ ২৬-২৭ নভেম্বর যন্তর মন্তরে তাদের সমাবেশের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে। এআইকেএসসিসির ব্যানারে সারা দেশের কৃষকরা ২৬-২৭ নভেম্বর দিল্লি চলোর পরিকল্পনা করেছিলেন। যাইহোক, ১১ নভেম্বর তারিখে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এআইকেএসসিসির আহ্বায়ক ভি এম সিংকে চিঠি লিখে মহামারী উদ্ধৃত করে যন্তর মন্তরে ধর্নার অনুমতি অস্বীকার করে জানান যে ইতিমধ্যে দিল্লিতে ১৪৪ সিআরপিসি (CRPC) ধারা কার্যকর করা হয়েছে।
এআইকেএসসিসির ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য জগমোহন সিং বলেন, “এই বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য দিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি নতুন আবেদন পাঠানো হয়েছে। কৃষকরা উল্লেখ করেছেন যে গত সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে যন্তর মন্তরে অসংখ্য প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী’র প্রতিবাদ সমাবেশ। এই মূহুর্তে দেশ ১’লা জুলাই থেকে আনলক মোডে আছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংসদ বর্ষাকালীন অধিবেশনের জন্য খোলা হয়েছে এবং বিহারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আটটি রাজ্যের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভি এম সিং তার আবেদনে বলেন -“কোভিড নির্দেশিকা অনুসরণ করা হবে এবং উপরন্তু, প্রাথমিকভাবে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার সময়ের বিপরীতে জনসচেতনতা এখন বিদ্যমান… এই পরিস্থিতিতে, এটা পরিষ্কার যে নয়া দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের অনুমতি প্রত্যাখ্যান অবৈধ, অযৌক্তিক ও মনগড়া। যখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অন্যান্য প্রতিবাদ অবাধে অনুমোদিত হয় তখন কৃষকদের শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অভিযোগ প্রচার করা থেকে বিরত রাখা অন্যায়” ।