দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ শেষ হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। আর এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখে ব্রিটেনের ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির অনুমোদন পেলেই টিকা চলে আসবে জানুয়ারির মধ্যেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী ভারতে কোভিশিল্ড টিকার ডোজ তৈরিই রেখেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। আদর পুনাওয়ালার মতে টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন পেলেই আর এক মুহূর্তও দেরি করা হবে না।
এইমুহুর্তে দেশের ১৫টি জায়গায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শেষ হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত এই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফল ইতিবাচক। নেই কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই বিজ্ঞানী সহ সকলেরই বিশ্বাস এই টিকা কার্যকরী হবেই। পুনওয়ালার মতে, ব্রিটেনে এই টিকা ছাড়পত্র পেলেই সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে জমা হবে। আর অনুমতি পেলেই টিকার ডোজ বাজারে চলে আসবে।
উল্লেখ্য ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান ডক্টর অ্যান্ড্রু পোলার্ড দাবি করেছেন যে এই মূহুর্তে সেরাম ইন্সটিটিউটে এখনই ৪ কোটি টিকার ডোজ তৈরি করে রাখা হয়েছে। অনুমোদন মিললেই বড়দিনের আগেই সুখবর দেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার সারা গিলবার্টের টিম। আর তা না হলে আগামী বছরের গোড়াতেই আসছে ভ্যাকসিন।
প্রসঙ্গত, সেরাম কর্তা আরও জানিয়েছেন যে, এই টিকার দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যেই। অনুমান করা হচ্ছে যে এই ভ্যাকসিন ডোজের দাম হবে তিন ডলারের মধ্যে। অর্থাত্ ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় ২২৫ টাকা। ভারত তো বটেই বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সেরামের কোভিশিল্ড টিকার দাম যাতে কম থাকে তার জন্য অর্থ বিনিয়োগ করছেন মাইক্রোসফট কর্তা বিল গেটস। ভ্যাকসিনের ডোজ পিছু দাম যাতে ৩ ডলারের মধ্যে থাকে তার জন্য তিনি ১৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করছেন।
এছাড়া সেরাম সূত্রে খবর এই টিকার পাশাপাশি কোভোভ্যাক্স, কোভিভ্যাক্স, কোভি-ভ্যাক ও এসআইআই কোভ্যাক্স টিকার সেফটি ট্রায়াল করা হচ্ছে।এগুলি সুরক্ষিত প্রমাণিত হলেই মানুষের শরীরে প্রয়োগ শুরু হবে। সব মিলিয়ে ২০২১-২২ সালের মধ্যে ভারতের বাজারে করোনা টিকার প্রায় ১০০ কোটি ডোজ চলে আসবে অনুমান করা হচ্ছে।