দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় দু’বছর ধরে জেলবন্দী ৮০ বছরের কবি ও সমাজকর্মী ভারবারা রাও। তিনি সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী। নিজের ইচ্ছায় মূত্রত্যাগ করার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। ক্যাথিটার লাগানো রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে কি আইনের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব! বম্বে হাইকোর্টে তাঁর জামিনের শুনানিতে যুক্তি দিলেন রাও পরিবারের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং।
উল্লেখ্য, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন এ প্রশাসনকে এমন ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে যাতে বিচার ছাড়াই দিনের পর দিন অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে আটকে রাখা যায়। আর তেমনটাই হয়ে চলেছে ভারাভারা রাওয়ের ক্ষেত্রেও। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পড়ে বয়সজনিত কারণে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই জামিন দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে।
আজ কোর্টে জয়সিং জানালেন, সংবিধানের ২১ নম্বর আর্টিকেল লঙ্ঘন করা হচ্ছে। যা নাগরিককে বেঁচে থাকার অধিকার এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। কিন্তু এক্ষেত্রে ভারাভারা রাওয়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি। পরিবার তাঁর এই অসুস্থতার খবরটি পেয়েছে আরেক অভিযুক্ত স্ট্যান স্বামীর মাধ্যমে। জয়সিং আদালতকে জানালেন, ‘আমি ভারাভারা রাওকে তালোজা জেল থেকে নানাবতী হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য একটি জরুরি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের দাবি করছি। তালোজা জেলে সুচিকিত্সার পরিকাঠামো নেই।’
জামিন না দিলেও হাইকোর্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই ভিডিও কলের ব্যবস্থা করতে হবে। পরবর্তীতে আগামী ১৭ নভেম্বর ফের একবার জামিনের শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৮-এর জানুয়ারিতে ভিমা-কোরেগাঁও (Bhima-Koregaon) হিংসাত্মক ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ন’ জন মানবাধিকার কর্মীকে মহারাষ্ট্র পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে এলগার পরিষদ মামলার চার্জশিটে পুলিশ এমনও অভিযোগ করে যে ওই কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ এ ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি। যার ফলে তাঁদের জামিন পেতে অযথা দেরি হচ্ছে।