দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বৃহস্পতিবার, ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল স্ট্যান্ড আপ কৌতুকাভিনেতা কুণাল কামরাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফৌজদারি আদালত অবমাননার মামলা শুরু করার সম্মতি দিয়েছেন।
ভেনুগোপাল তার সম্মতি চিঠিতে পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন “আমি দেখতে পাচ্ছি যে আজ মানুষ বিশ্বাস করে যে তারা সাহসিকতার সাথে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং এর বিচারকদের নিন্দা করতে পারে যা তারা বিশ্বাস করে তা হচ্ছে তাদের বাক স্বাধীনতা। কিন্তু সংবিধানের অধীনে, বাক স্বাধীনতা অবমাননা আইনের অধীন… আমি বিশ্বাস করি যে মানুষ বুঝতে পারে যে অযৌক্তিকভাবে এবং নির্লজ্জভাবে আদালত অবমাননা আইনের অধীনে শাস্তি যোগ্য হতে পারে।”
ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা শ্রীরাং কাটনেশ্বরকর আদালত অবমাননা আইনের অধীনে অ্যাটর্নি জেনারেল ভেনুগোপালের অনুমতি চেয়েছিলেন যাতে কুণাল কামরা’র টুইটের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুরু করা যায়। অ্যাটর্নি জেনারেল কুণাল কামরাকে অবমাননার অভিযোগে অন্যান্য পৃথক অনুরোধের জন্য একই সম্মতি পত্র জারি করেছেন।
বুধবার রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের উপর ভিত্তি করে কুণাল কামরা পর পর কয়েকটি টুইট করেন।
কুণাল কামরার ওই টুইটে দেখা যাচ্ছে “সুপ্রিম কোর্ট ভবনের রঙ গাঢ় জাফরান রঙ হয়ে গিয়েছে যা বিজপির গেরুয়া রঙের সাথে সাদৃশ্য রাখে, যেখানে ত্রিবর্ণ রঙের বদলে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির পতাকা উড়ছে।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ভবনের ছবির এই টুইটটি “ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে একটি চরম প্ররোচনা”।
কুণাল কামরার টুইটে বলা হয়েছে যে “সুপ্রিম কোর্ট একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নয় এবং এর বিচারকদেরও, কিন্তু অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একটি আদালত, যা বিজেপির সুবিধার জন্য বিদ্যমান”।
বেণুগোপাল বলেন বলেন যে অন্যান্য টুইটগুলোও “অত্যন্ত আপত্তিকর” এবং এই টুইটগুলো ও অবমাননার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ছাপ রেখে গিয়েছে।