দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল আদালত অবমাননার কারণে কুণাল কামরা’র ওপরে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। সরকারের সর্বোচ্চ আইন অফিসারের এই নির্দেশ শুনেও নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান কুণাল কামরা। আজ শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে কুণাল জানিয়েছেন যে অর্ণব গোস্বামীকে সুপ্রীম কোর্ট বেল দেওয়ার পর তিনি দেশের শীর্ষ আদালত সংক্রান্ত যা বলেছেন, সেই বয়ান থেকে এক পাও পিছু হটবেন না তিনি। এমনকী ক্ষমাও চাইবেন না তাঁর বিতর্কিত টুইটগুলির জন্য।
উল্লেখ্য, গত দিন শীর্ষ আদালতে অর্ণবকে বেল দেওয়ার সময় বিচারকেরা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। বিচারকদের সেই কথার সূত্র ধরে নিজের বিবৃতিতে কুণাল কামরা বলেছেন যে ‘একই ইস্যুতে অন্যদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নিশ্চুপ’, সেটার সমালোচনা হবেই। তাই তিনি থামবেন না ও কোনও ক্ষমা চাইবেন না। সুপ্রীম কোর্ট বরঞ্চ তাঁর বিষয়টি নিয়ে এত না ভেবে বরং ডিমোনিটাইজেসন, ৩৭০ ধারা বিলোপ, ইলেকটরাল বন্ড প্রভৃতি বিষয়ে বিশ্লেষণ মূলক আলোচনাতে সময় দিক। এই মর্মে তিনি সুপ্রীম কোর্টকে আবেদনও করেছেন।
আরও পড়ুন: স্ট্যান্ড আপ কৌতুকাভিনেতা কুণাল কামরাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ফৌজদারি আদালত অবমাননার মামলা শুরু
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার কুনালের ধারাবাহিক টুইটগুলিকে নিম্মরুচির বলে অ্যাখ্যা দিয়ে ক্রিমিনাল কনটেম্পট মামলা চালানোর অনুমতি দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এ জি বেনুগোপাল বলেন যে আদালতের সমালোচনা করাই যায় কিন্তু শালীনতা অতিক্রম করলে চলবে না। এটি কৌতুকের মঞ্চ নয়, এটি আদালতের অবমাননা, বলেই কুণাল কে ভর্ত্সনা করেন তিনি।
বেণু গোপালের মতে যেভাবে কুনাল কামরা সুপ্রিম কোর্টের ছবি ফোটোশপ করে তার গায়ের পেইণ্ট কে কমলা রংয়ের করেছিলেন ও জাতীয় পতাকার জায়গায় বিজেপির পতাকা ব্যবহার করেছিলেন, সেটি আদালত অবমাননার সামিল। তাঁর মতে এভাবে আদালতকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ জানানো যায় না।
গতকাল সবমিলিয়ে মোট আটজনকে কুণাল কামরার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন বেনুগোপাল। প্রসঙ্গত, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা একটি মামলায় এক সপ্তাহের বেশি জেলে থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জামিন পান রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী। কুণাল কামরা সহ অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে বহু সাংবাদিক, পড়ুয়া ও সমাজকর্মী বিভিন্ন মামলায় ভারতের বিভিন্ন জেলে রয়েছে, তাদের শুনানিও হয়নি। সেসব ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষায় শীর্ষ আদালত কেন সচেষ্ট নয়, সেই প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁর টুইটে।