দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের প্রায় হাজারের কাছাকাছি সেবায়েত গত কয়েক মাসে করোনা আক্রান্ত। সেই সাথে করোনাতে প্রাণ হারিয়েছেন দশ জনেরও বেশি সেবায়েত। ওই কারণে বাড়তি সতর্কতা মেনে বন্ধ করে রাখা হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দির।
করোনা আবহে দীর্ঘ সময় ব্যাপী পুরীর মন্দির বন্ধ থাকার কারণে জগন্নাথ দেবের মন্দিরের সেবায়েতদের পরিবার পিছু প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে সাহায্য বরাদ্দ করেছে ওড়িশা সরকার। এই প্রসঙ্গে রাজেশ দৈতাপতি জানান, “এই মুহূর্তে মন্দিরে প্রায় দশ হাজার সেবায়েত রয়েছেন। সরকার পাশে দাঁড়ানোয় সেবায়েতরাও কঠিন সময়ে অর্থনৈতিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারছেন।”
ইতিমধ্যে মন্দা কাটানোর উপায় হিসেবে রাজ্য সরকারের কাছে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মন্দিরের বাইরে অরুণ স্তম্ভের কাছ থেকে জগন্নাথ দেবের মন্দির দর্শনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে এখনও সেই বিষয়ে উত্তর দেয়নি ওড়িশা সরকার। ইতিমধ্যে, পুরী শহরের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় কালেক্টর বলবন্ত সিং ইতিমধ্যে রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অন্যান্য বছর কার্তিক মাসে জগন্নাথ দেবের মন্দিরে নানারকম পুজো, উপাচার চলে। বিশাল সংখ্যক ভক্তকুলের সমাবেশ ঘটে মহাপ্রভুর মন্দিরে। করোনা অতিমারির কারণে এবার সেই সব বন্ধই থাকবে। পুরীতে পর্যটকদের ভিড় জমানোর বড় কারণ মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের মন্দির। সেই মন্দির বন্ধ থাকার কারণেই এবার পর্যটকরাও সেভাবে পুরীতে আসছেন না। সমুদ্র সৈকত লাগোয়া হোটেল খুলে দেওয়া হলেও আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
নভেম্বর শেষে নাগার্জুন বেশ তো বটেই, চলতি বছরের বাকি সময়েও করনা কারণেই ভক্তকুলের জন্য বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির। মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি রাজেশ দৈতাপতি জানান আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের আগে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির দরজা ভক্ত সাধারণের জন্য খোলার সম্ভাবনা নেই।