দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ত্রিপুরার বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার শঙ্খশুভ্র দাস ভেজা কাপড় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কার করলেন। যে বিদ্যুত্ মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে এবং ছোটখাটো চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে বিশেষ উপযোগী হবে। আর এই পদ্ধতি কোটি কোটি গ্রামীণ ভারতবাসীকে উপকৃত করবে।
ইতিমধ্যে এই আবিষ্কারের জন্য নভেম্বর মাসেই তাঁকে গান্ধিয়ান ইয়ং টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন পুরস্কারে সম্মানিত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন। আগরতলা এনআইটি-এর প্রাক্তনী শঙ্খশুভ্র দাস শিলচর এনআইটি থেকে এম টেক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বর্তমানে আইআইটি খড়গপুরে পিএইচডি করছেন।
উল্লেখ্য, আগরতলা থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত সিহাহিজলার বাসিন্দা শঙ্খশুভ্র নির্দিষ্ট আয়তনে কেটে রাখা কয়েক সেন্টিমিটার কাপড়ে প্লাস্টিকের স্ট্র সেঁটে অর্ধেক ভর্তি জলের পাত্রে রাখেন। স্ট্র-এর দুই প্রান্তে তামার ইলেকট্রোড যুক্ত করা হয়। কিছু সময়ের মধ্যে স্ট্র-এর ভিতর দিয়ে জল উপরে উঠতে থাকে এবং তার জেরে ৭০০ মিলি ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
এই নবীন ইঞ্জিনিয়ার শঙ্খশুভ্র জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়ায় ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বিদ্যুতের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এলইডি বা ছোট মাইক্রোচিপ ব্যবহারের জন্য ৩০-৪০টি এমনই যন্ত্র একসঙ্গে কাজে লাগিয়েছে তাঁর দল। তার জেরে ১২ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে, যা মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে, ছোটখাটো মেডিক্যাল যন্ত্র চালু রাখতে এবং খুদে এলইডি জ্বালাতে কাজে লাগানো গিয়েছে।
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ‘এটি একটি আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত গবেষণা প্রকল্প, যার দ্বারা আমরা প্রান্তিক অঞ্চলে ন্যূনতম খরচে স্বল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করছি। প্রকল্পের কাজের জন্য তাই কাপড় ভিত্তিক উপাদানের সাহায্যে কার্যকরী যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল, বাইরে থেকে জল পাম্প করার প্রক্রিয়া ব্যবহার করব না।’
তাঁর দাবি, ফিল্টার কাগজের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্র এর আগে তৈরি হলেও তা বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলেও সে বিদ্যুত্ দীর্ঘমেয়াদী হয় না, যা তাঁর যন্ত্র অনেক দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে।