দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সোমবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের গ্রেফতারের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি আবেদনের স্পষ্ট জবাব চেয়েছে। উল্লেখ্য অক্টোবর মাসে মালয়ালম সংবাদ ওয়েবসাইট আজিমুখমের সাথে কাজ করা কাপ্পানকে ইউএপিএ-এ আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের হাথরাস যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করা হয় যেখানে গণধর্ষণের কারণে এক দলিত তরুণী মারা যায় ও পুলিশ তার মরদেহ তড়িঘড়ি দাহ করে দেয়, এমনকি ওই তরুণীর পরিবারকেও ধোঁয়াশার মধ্যে রাখা হয়।
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রামানিয়ানের একটি বেঞ্চ কেরালা ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস (কেইউডব্লিউজে) এর কৌঁসুলির কাছে জানতে চেয়েছে কেন তারা এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায়নি এবং সরাসরি সেখানে এসেছে।
“আমরা বিজ্ঞপ্তি জারি করব। আমরা শুক্রবারের জন্যে এটা রাখছি,” বিচারক বেঞ্চ এই কথা তখন বলেছে যখন অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল সাংবাদিকের জামিনের আবেদন করে বলেন যে এফআইআরে তার মক্কেলের নাম নেই। সিবাল বলেন “এফআইআরে তার নাম নেই। কোন অপরাধের অভিযোগ নেই। ৫ অক্টোবর থেকে তিনি জেলে আছেন।”
উচ্চ আদালতে না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেঞ্চ বলেছে, “আমরা এই মামলার যোগ্যতা বিচারের জন্যে নেই। আপনি হাইকোর্টে যাননি কেন? এর আগে শীর্ষ আদালত বলেছিল যে চার সপ্তাহ পর তারা এই আবেদনের শুনানি করবে এবং ইতিমধ্যে সাংবাদিক চাইলে তাঁর মুক্তির জন্যে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যেতে পারে।
১১ নভেম্বর শুনানিতে শীর্ষ আদালত রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে যেখানে মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল কাপ্পানের গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করে। সিবাল বলেন, সংবিধানের ৩২ ধারার অধীনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে, শুধুমাত্র নিম্ন আদালতে মামলাটি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য।
উত্তর প্রদেশ পুলিশ অভিযোগ করেছে যে ৪১ বছর বয়স্ক কাপ্পান এবং ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (সিএফআই) তিনজন সদস্য, যারা তার সাথে ভ্রমণ করছিল, তারা হাথরাস ধর্ষণের বিরুদ্ধে ধর্মীয় শত্রুতা উস্কে দেয়ার একটি “ষড়যন্ত্রের” অংশ ছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ইউএপিএ এবং রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।