দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সোমবার ভারত বায়োটেক ‘কোভ্যাক্সিন’ কোভিড-১৯ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর ঘোষণা করেছে। কোভিড-১৯ টিকার ভারতে হওয়া এটিই সর্ববৃহত্ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। কোভ্যাক্সিন হল ভারতের দেশীয় কোভিড-১৯ টিকা। ভারত বায়োটেক আইসিএমআর ও জাতীয় ভাইরোলজি প্রতিষ্ঠানের(এনআইভি) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই টিকাটি তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে দেশের ২৫টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিচ্ছেন। আইসিএমআর (ICMR)-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে। এটি ভারতের প্রথম ও বৃহত্তম তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। এই ট্রায়াল আইসিএমআর-এ রেজিস্টার্ড এবং ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা অনুমোদিত।
তবে এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হতে দু মাসের বেশি সময় লাগতে পারে অর্থাত্ এটি ২০২১ এর শুরুতে সম্পূর্ণ হতে পারে। এই ট্রায়ালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিযয় হল, ভারত একটি সাশ্রয়ী বায়োটেক টিকা নিয়ে কাজ করছে। তাই আশা করা যায়, কোভ্যাক্সিন বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা টিকা হবে।
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে টিকাকরণ অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের ওপরে নজর রাথা হবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হচ্ছে কি না। এই ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিনের ব্যবধানে টিকার ২টি ইঞ্জেকশান দেওয়া হবে। অংশগ্রহণকারীরা হয় কোভ্যাক্সিনের ৬ মাইক্রোগ্রামের ২টি ইঞ্জেকশান নেবেন অথবা প্লাসেবোর ২টি শট। এই ট্রায়ালে অনুসন্ধানকারীরা, অংশগ্রহণকারীরা ও সংস্থা কেউ জানতে পারবেন না কে কোন গোষ্ঠীতে পড়ছেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে হাজার জনের ওপর কোভ্যাক্সিনের মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাতে সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধের ভাল প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। যে স্বেচ্ছাসেবকরা এই ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৮ বছরের বেশি।