দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রাশিয়াতে আয়োজিত ১২তম ব্রিকস সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনকারী দেশগুলোকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, “আমাদের সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে।
‘বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, ভাগ করে নেওয়া নিরাপত্তা এবং উদ্ভাবনী প্রবৃদ্ধি’ এই থিমকে শুধু প্রাসঙ্গিক ই নয়, সুদূরপ্রসারী বলেও অভিহিত করে মোদী বলেন, বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তিনি আইএমএফ, ডব্লিউটিও, হু-এর মত প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের উপর জোর দেন যাতে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী আরো দাবি করেন যে কোভিড পরবর্তী ভারত বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি শক্তি গুণক হতে পারে। “ভারতের টীকা উৎপাদন এবং সরবরাহ ক্ষমতা কোভিড সংকট মোকাবেলায় মানবতার স্বার্থে কাজ করবে।”
রাশিয়ার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে রাশিয়ান ব্রিকস-এর চেয়ারম্যান পদ এর লক্ষ্য ব্রিকস ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতার জন্য, আমাদের জনগণের জীবনযাত্রার মান ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখা।
রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আন্তন কোভিয়াকভ বলেন “বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে, ২০২০ সালে রাশিয়ান ব্রিকস চেয়ারম্যানের অধীনে কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৬০টিরও বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”
আজকের সম্মেলনে লাদাখে চলমান ভারত-চীন অচলাবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বিতীয়বারের মত একসাথে দেখা গেছে। এর আগে, উভয় নেতা ১০ নভেম্বর সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে মঞ্চ ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন, যেখানে মোদী বলেছিলেন যে এসসিও-এর (SCO) সকল সদস্য রাষ্ট্রের একে অপরের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত ছয় মাস ধরে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যরা সীমান্ত অচলাবস্থার মধ্যে আটকে আছে।